তিনি বাংলার ফুটবলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির কারিগর। তাঁর হাত ধরেই পিয়ারলেস এবার কলকাতা লীগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তিন প্রধানের আধিপত্যের সমাপ্তি ঘটিয়ে। ইস্টার্ন রেল বাদে পিয়ারলেসই একমাত্র দল, যারা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহমেডানকে টপকে কলকাতা লীগ জয় করল। সেই তিনি, জহর দাস, পিয়ারলেসের প্রাক্তন কোচ এবং বর্তমানে অ্যারোজ ইউনাইটেডের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এদিন বিশেষ সাক্ষাৎকার দিলেন স্পোর্টস গ্যালারীকে।
স্পোর্টস গ্যালারী:- বহু দিন পর ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান বা মহমেডান বাদে কোনো দল কলকাতা লীগে চ্যাম্পিয়ন হল। এবং সেটা আপনারই হাত ধরে। কিরকম অনুভূতি হচ্ছে?
জহর:- খুবই অসাধারণ অনুভূতি। অনেকদিন পরে কলকাতা লীগে কোনো নতুন দল চ্যাম্পিয়ন হল। সত্যি বলতে কি, এটা একধরনের একঘেয়েমির অবসান বলা চলে। বহুদিন ধরে শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানই জিতে আসছিল। সেই জায়গায় পিয়ারলেসের চ্যাম্পিয়ন হওয়া খুবই উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। বিশেষত, পিয়ারলেস যেখানে শেষ কয়েক বছর ধরেই কলকাতা লীগে খুবই ভালো ফুটবল খেলে আসছে।
স্পোর্টস গ্যালারী :-পিয়ারলেসের হয়ে এই সাফল্যের রসায়ন কি?
জহর:- কোনো সাফল্য পেতে গেলে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। আমি মনে করি, আপনি কোনো ম্যাচ জিতলেন মানে আপনার কাজ আরও কঠিন হল। কারণ তখন প্রতিপক্ষ আপনাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাববে। আপনাকে নিয়ে আরও বেশি কাটাছেঁড়া করবে। আর আপনি হারলেন মানে আপনার কাজ সহজ হল। সেই অর্থে আপনি জিতলেন মানে আপনাকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে। সাথে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে। ইউ হ্যাভ টু অ্যাক্ট অ্যাকর্ডিং টু দি সিচুয়েশন।
স্পোর্টস গ্যালারী:- আপনি তো তথাকথিত বড় দল, যেমন মোহনবাগান এবং তথাকথিত ছোট দল, দুধরনের দলেই কোচিং করিয়েছেন। এই দুই ধরনের দলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বক্তব্য?
জহর:- আলাদা করে কোনও বিশেষ অভিজ্ঞতা নেই। তবে হ্যাঁ, যে ক্লাবেই কোচিং করাই না কেন, আমার লক্ষ্য সবসময় একই থাকে। আরও উন্নতি করা। আর এই উন্নতির প্রশ্নে আমি কোনরকম আপোষ করতে চাইনা।
স্পোর্টস গ্যালারী:- আজকাল সর্বত্রই বিদেশি কোচেদের রমরমা। ভারতীয় কোচেরা বিদেশি কোচেদের থেকে কোথায় পিছিয়ে? বা আদৌ কি পিছিয়ে?
জহর:- আমাদের দেশে যে সমস্ত বিদেশি কোচেরা আসেন, ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা বিখ্যাত কোনও ক্লাবের সহকারী কোচ বা আকাডেমী কোচ ছিলেন। অর্থাৎ কখনোই তাঁরা মূল দায়িত্ব পালন করেননি। যে কারণে ভারতে এসে প্রধান প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালনে অধিকাংশ সময়ই তাঁরা ব্যর্থ হন। কিন্তু আমাদের দেশের লোকেদের এমন মানসিকতা যে বিদেশি কোচ কিছু করলে সাত খুন মাপ। আর দেশি কোচেরা সামান্য কিছু ভুলভ্রান্তি করলেও তাঁরা অচল। উদাহরণ হিসাবে আলেহান্দ্রো বা কিবু ভিকুনার কথা বলা যেতে পারে। শুধু মাত্র বিদেশি কোচ বলেই একের পর এক টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েও এঁরা টিকে আছেন।
স্পোর্টস গ্যালারী:- সম্প্রতি আপনি অ্যারোজ ইউনাইটেডে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসাবে যোগদান করেছেন। আবার এক নতুন দায়িত্ব। কিরকম অনুভূতি হচ্ছে?
জহর:- আমি যে কোনও গঠনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে ভালোবাসি। অ্যারোজ ইউনাইটেড একটা নতুন ক্লাব। এখানে যাঁরা আছেন তাঁরা সর্বক্ষণ জুনিয়রদের তুলে আনার ব্যাপারে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আর আমি বরাবরই নতুনদের নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি। কোনও প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার হয়তো ঠিকঠাক সুযোগ পেলে বা ঠিকভাবে পরিচালিত করা গেলে বাংলার বা ভারতীয় ফুটবলের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। আমাদের কাজ তাদের সেই উন্নতির রাস্তায় চালিত করা।
স্পোর্টস গ্যালারী:- এত জায়গা থাকতে বেছে বেছে অ্যারোজ ইউনাইটেডই কেন?
জহর:- দেখুন আমি কোচিংটা করাতে চাই। নতুন নতুন ফুটবলার তুলে আনতে চাই। সেই কাজ করার সুযোগ অ্যারোজ ইউনাইটেড আমাকে দিয়েছে। এটাই কারণ। ব্যাস, আর কিছু না।
স্পোর্টস গ্যালারী:- পরবর্তীকালে অ্যারোজের টিডি হিসাবে আপনার লক্ষ্য কি?
জহর:- সবে তো পথ চলা আরম্ভ। এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে। ভালো দল গঠন করতে হবে, আকাডেমীর পরিকাঠামোরও আরও উন্নতি দরকার। ধীরে ধীরে এগোতে হবে। অনেক কাজ বাকি। এটুকু বলতে পারি, আত্মতুষ্টিকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন:- দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত
স্পোর্টস গ্যালারী:- বহু দিন পর ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান বা মহমেডান বাদে কোনো দল কলকাতা লীগে চ্যাম্পিয়ন হল। এবং সেটা আপনারই হাত ধরে। কিরকম অনুভূতি হচ্ছে?
জহর:- খুবই অসাধারণ অনুভূতি। অনেকদিন পরে কলকাতা লীগে কোনো নতুন দল চ্যাম্পিয়ন হল। সত্যি বলতে কি, এটা একধরনের একঘেয়েমির অবসান বলা চলে। বহুদিন ধরে শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানই জিতে আসছিল। সেই জায়গায় পিয়ারলেসের চ্যাম্পিয়ন হওয়া খুবই উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। বিশেষত, পিয়ারলেস যেখানে শেষ কয়েক বছর ধরেই কলকাতা লীগে খুবই ভালো ফুটবল খেলে আসছে।
স্পোর্টস গ্যালারী :-পিয়ারলেসের হয়ে এই সাফল্যের রসায়ন কি?
জহর:- কোনো সাফল্য পেতে গেলে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। আমি মনে করি, আপনি কোনো ম্যাচ জিতলেন মানে আপনার কাজ আরও কঠিন হল। কারণ তখন প্রতিপক্ষ আপনাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাববে। আপনাকে নিয়ে আরও বেশি কাটাছেঁড়া করবে। আর আপনি হারলেন মানে আপনার কাজ সহজ হল। সেই অর্থে আপনি জিতলেন মানে আপনাকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে। সাথে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে। ইউ হ্যাভ টু অ্যাক্ট অ্যাকর্ডিং টু দি সিচুয়েশন।
স্পোর্টস গ্যালারী:- আপনি তো তথাকথিত বড় দল, যেমন মোহনবাগান এবং তথাকথিত ছোট দল, দুধরনের দলেই কোচিং করিয়েছেন। এই দুই ধরনের দলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বক্তব্য?
জহর:- আলাদা করে কোনও বিশেষ অভিজ্ঞতা নেই। তবে হ্যাঁ, যে ক্লাবেই কোচিং করাই না কেন, আমার লক্ষ্য সবসময় একই থাকে। আরও উন্নতি করা। আর এই উন্নতির প্রশ্নে আমি কোনরকম আপোষ করতে চাইনা।
স্পোর্টস গ্যালারী:- আজকাল সর্বত্রই বিদেশি কোচেদের রমরমা। ভারতীয় কোচেরা বিদেশি কোচেদের থেকে কোথায় পিছিয়ে? বা আদৌ কি পিছিয়ে?
জহর:- আমাদের দেশে যে সমস্ত বিদেশি কোচেরা আসেন, ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা বিখ্যাত কোনও ক্লাবের সহকারী কোচ বা আকাডেমী কোচ ছিলেন। অর্থাৎ কখনোই তাঁরা মূল দায়িত্ব পালন করেননি। যে কারণে ভারতে এসে প্রধান প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালনে অধিকাংশ সময়ই তাঁরা ব্যর্থ হন। কিন্তু আমাদের দেশের লোকেদের এমন মানসিকতা যে বিদেশি কোচ কিছু করলে সাত খুন মাপ। আর দেশি কোচেরা সামান্য কিছু ভুলভ্রান্তি করলেও তাঁরা অচল। উদাহরণ হিসাবে আলেহান্দ্রো বা কিবু ভিকুনার কথা বলা যেতে পারে। শুধু মাত্র বিদেশি কোচ বলেই একের পর এক টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েও এঁরা টিকে আছেন।
স্পোর্টস গ্যালারী:- সম্প্রতি আপনি অ্যারোজ ইউনাইটেডে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসাবে যোগদান করেছেন। আবার এক নতুন দায়িত্ব। কিরকম অনুভূতি হচ্ছে?
জহর:- আমি যে কোনও গঠনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে ভালোবাসি। অ্যারোজ ইউনাইটেড একটা নতুন ক্লাব। এখানে যাঁরা আছেন তাঁরা সর্বক্ষণ জুনিয়রদের তুলে আনার ব্যাপারে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আর আমি বরাবরই নতুনদের নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি। কোনও প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার হয়তো ঠিকঠাক সুযোগ পেলে বা ঠিকভাবে পরিচালিত করা গেলে বাংলার বা ভারতীয় ফুটবলের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। আমাদের কাজ তাদের সেই উন্নতির রাস্তায় চালিত করা।
স্পোর্টস গ্যালারী:- এত জায়গা থাকতে বেছে বেছে অ্যারোজ ইউনাইটেডই কেন?
জহর:- দেখুন আমি কোচিংটা করাতে চাই। নতুন নতুন ফুটবলার তুলে আনতে চাই। সেই কাজ করার সুযোগ অ্যারোজ ইউনাইটেড আমাকে দিয়েছে। এটাই কারণ। ব্যাস, আর কিছু না।
স্পোর্টস গ্যালারী:- পরবর্তীকালে অ্যারোজের টিডি হিসাবে আপনার লক্ষ্য কি?
জহর:- সবে তো পথ চলা আরম্ভ। এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে। ভালো দল গঠন করতে হবে, আকাডেমীর পরিকাঠামোরও আরও উন্নতি দরকার। ধীরে ধীরে এগোতে হবে। অনেক কাজ বাকি। এটুকু বলতে পারি, আত্মতুষ্টিকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন:- দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত
No comments:
Post a Comment