গতির মিসাইলে তিনদিনেই চূর্ণ বাংলাদেশ। - দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

গতির মিসাইলে তিনদিনেই চূর্ণ বাংলাদেশ। - দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত

Share This
বাংলাদেশ - ১৫০ (৫৮.৩ ওভারে) ও ২১৩ (৬৯.২ ওভারে)
ভারত - ৪৯৩/৬ ডি (১১৪ ওভারে)

ভারত জয়ী ইনিংস এবং ১৩০ রানে।

বদলাচ্ছে ভারত। সত্যিই বদলাচ্ছে।

এখন আর শুধু স্পিনের দেশ কোনভাবেই বলা যাবে না ভারতকে। বরং দিনে দিনে যেভাবে ভারতের পেস বোলিং শক্তিশালী হচ্ছে, তাতে অনায়াসে ভারতকে এখন গতির দেশ বলা যেতেই পারে। এই মুহূর্তে ভারতের ফাস্ট বোলিং বিশ্বের সমস্ত দেশের ব্যাটসম্যানদের ত্রাস।

এই টেস্টে যেমন। আগে দেশের মাটিতে ভারতের অধিনায়কেরা টসে জিতলে সবসময় আগে ব্যাটিং নিতেন। আগে ব্যাট করে বড় রান তুলে চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে ঘূর্ণির সামনে ফেলে দিতেন প্রতিপক্ষকে। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। দরকারে দেশের মাটিতেও আগে ফিল্ডিং করছে ভারত। পেস বোলাররা বিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখার পর নিজেরা বড় রানের ইনিংস গড়ছে। যেমনটা ঘটলো ইন্দোর টেস্টে। এখানে অবশ্য বাংলাদেশ টসে যেতে। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল হক ব্যাটিং নেওয়ার পর যখন বিরাটকে জিজ্ঞাসা করা হল যে তিনি কি করতেন টসে জিতলে, তখন বিরাট বলেন যে তিনি টসে জিতলে ফিল্ডিংই নিতেন।

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। মাত্র একত্রিশ রানের মধ্যেই ফিরে যান ইমরুল কায়েস (৬), শাদমান ইসলাম (৬) ও মহম্মদ মিঠুন (১৩)। এরপর বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল (৩৭) ও মুশফিকুর রহিম (৪৩) সাময়িক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু দলের ৯৯ রানের মাথায় মমিনুল ফিরে যেতেই ফের ধস নামে বাংলাদেশ ইনিংসে।শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫০ রানে। মহম্মদ শামি নেন তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট পান উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

জবাবে ভারত ব্যাট করতে নেমে মাত্র ছয় উইকেট হারিয়ে ৪৯৩ রানের বিশাল পাহাড় গড়ে তোলে। ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল একাই করেন ২৪৩ রান। এটি তাঁর দ্বিতীয় দ্বিশতরান। অর্ধশতরান করেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৪), অজিঙ্ক রাহানে (৮৬) এবং রবীন্দ্র জাডেজা (অপরাজিত ৬০)।ইনিংসের শেষ দিকে উমেশ যাদব চালিয়ে খেলে মাত্র ১০ বলে পঁচিশ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ চারটি উইকেট পান। একটি করে উইকেট পান মেহেদি হাসান ও এবাদত হোসেন।

ছয় উইকেটে ৪৯৩ স্কোরে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম (৬৪) এবং কিছুটা লিটন দাস (৩৫) ও মেহেদি হাসান (৩৮) ছাড়া কেউই কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। মাত্র ২১৩ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসেও চলে ভারতীয় পেসারদের তাণ্ডব। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও চার উইকেট নেন মহম্মদ শামি। বাকি উইকেটগুলি ভাগাভাগি করে নেন অশ্বিন (৩টি), উমেশ যাদব (২টি) ও ইশান্ত শর্মা (১টি)।

ইনিংস ও ১৩০ রানে জিতে ভারত সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল। এই টেস্টে ম্যান অফ দি ম্যাচ হয়েছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল।















  

No comments:

Post a Comment

Pages