এককালে খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলে। এখন অবশ্য খেলা ছেড়ে কোচিংএ মনোনিবেশ করেছেন। সম্প্রতি তাঁর হাত ধরে পথ চলা শুরু হয়েছে শ্যামনগরের নতুন আকাডেমী শ্যামনগর এরোজ ইউনাইটেডের। বাংলা ফুটবলের নতুন যোদ্ধা তৈরির কারিগর বিশ্বজিৎ দে এদিন খোলামেলা সাক্ষাৎকার দিলেন স্পোর্টস গ্যালারীকে।
স্পোর্টস গ্যালারী:- যখন ফুটবল খেলতেন, কোন পজিশনে খেলতে পছন্দ করতেন?
বিশ্বজিৎ:- অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
স্পোর্টস গ্যালারী:- বিশ্বফুটবলে সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার কে?
বিশ্বজিৎ:- জিনেদিন জিদান। আর ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগে কৃশানু দেকে।
স্পোর্টস গ্যালারী:- প্রথম যখন ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলে খেলার সুযোগ পান, কিরকম অনুভূতি হয়েছিল?
বিশ্বজিৎ:- যেকোনো ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে কলকাতার দুই বড় ক্লাব, অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানের জার্সি পড়ার। এবং সেই অর্থে যখন ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে প্রথম খেলতে নামলাম, এক অসাধারণ অনুভূতি হয়েছিল, যা ঠিক ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। ভেতরে ভেতরে টগবগ করে ফুটছিলাম ভালো কিছু করে দেখানোর জন্য।
স্পোর্টস গ্যালারী:- খেলা ছেড়ে দিয়ে কোচিংএ এলেন কিভাবে?
বিশ্বজিৎ:- যখন বুঝতে পারলাম, যে আমার পক্ষে আর ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তখনই সিদ্ধান্ত নিই কোচিংএ আসার। মনকে বোঝাই এই বলে যে আমি যা পারিনি আমার ছাত্ররা নিশ্চয় তা পারবে। এবং আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, ভালো কাজ করার জন্য ইচ্ছাশক্তিটাই যথেষ্ট। এর জন্য কোনো নোংরামির আশ্রয় নেওয়ার বা রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। এই জিনিসটা কিছু ক্লাব অফিসিয়ালকেও দেখাতে চাই।
স্পোর্টস গ্যালারী:- বাংলার ফুটবলার রা এখন আর ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান, অর্থাৎ কলকাতা র দুই বড় ক্লাবের প্রথম একাদশে সেইভাবে সুযোগ পাচ্ছেন না। এই প্রসঙ্গে আপনার কি অভিমত?
বিশ্বজিৎ:- বড় ক্লাব যেমন ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান, এরা ট্রফি হান্টিং টিম। এরা যে কোনো টুর্নামেন্টে খেলে চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য। তাই এরা চেষ্টা করে সবসময় সেরা দল তৈরি করার। আর সেরা দল তৈরি করতে গেলে অনেক সময় সেন্টিমেন্টকে বিসর্জন দিতে হয়। কিন্তু আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, বাংলার ছেলেরা আজও মাথা দিয়ে ফুটবলটা খেলে। এবং বাংলায় প্রতিভার অভাব কোনোদিনই ছিল না, আজও নেই।
স্পোর্টস গ্যালারী:- ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিমাচকে কেমন লাগে?
বিশ্বজিৎ:- নিঃসন্দেহে উনি খুব বড় মাপের কোচ। খুব উঁচু দরের চিন্তা ভাবনা ওনার। ওনাকে দেখে মনে হয়, ভারতীয় দলকে কোচিং করানোটা কত সহজ। ওনার হাতে পড়ে গাড়ি ছুটতে শুরু করে দিয়েছে। শুধু স্টিয়ারিং টা ঠিকভাবে ধরতে হবে। আর লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। তাছাড়া সত্যি বলতে এখন ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের মোটিভেশনের কোনো অভাব নেই।
স্পোর্টস গ্যালারী:- শেষ প্রশ্ন, সরকারিভাবে আকাডেমী গঠন করার পরে আগামী দিনের লক্ষ্য কি?
বিশ্বজিৎ:- একটাই উদ্দেশ্য, বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলের জন্য নিয়মিতভাবে ভালো ভালো খেলোয়াড় তুলে আনা। আর কিছুই না।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন:- দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত
স্পোর্টস গ্যালারী:- যখন ফুটবল খেলতেন, কোন পজিশনে খেলতে পছন্দ করতেন?
বিশ্বজিৎ:- অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
স্পোর্টস গ্যালারী:- বিশ্বফুটবলে সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার কে?
বিশ্বজিৎ:- জিনেদিন জিদান। আর ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগে কৃশানু দেকে।
স্পোর্টস গ্যালারী:- প্রথম যখন ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলে খেলার সুযোগ পান, কিরকম অনুভূতি হয়েছিল?
বিশ্বজিৎ:- যেকোনো ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে কলকাতার দুই বড় ক্লাব, অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানের জার্সি পড়ার। এবং সেই অর্থে যখন ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে প্রথম খেলতে নামলাম, এক অসাধারণ অনুভূতি হয়েছিল, যা ঠিক ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। ভেতরে ভেতরে টগবগ করে ফুটছিলাম ভালো কিছু করে দেখানোর জন্য।
স্পোর্টস গ্যালারী:- খেলা ছেড়ে দিয়ে কোচিংএ এলেন কিভাবে?
বিশ্বজিৎ:- যখন বুঝতে পারলাম, যে আমার পক্ষে আর ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তখনই সিদ্ধান্ত নিই কোচিংএ আসার। মনকে বোঝাই এই বলে যে আমি যা পারিনি আমার ছাত্ররা নিশ্চয় তা পারবে। এবং আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, ভালো কাজ করার জন্য ইচ্ছাশক্তিটাই যথেষ্ট। এর জন্য কোনো নোংরামির আশ্রয় নেওয়ার বা রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। এই জিনিসটা কিছু ক্লাব অফিসিয়ালকেও দেখাতে চাই।
স্পোর্টস গ্যালারী:- বাংলার ফুটবলার রা এখন আর ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান, অর্থাৎ কলকাতা র দুই বড় ক্লাবের প্রথম একাদশে সেইভাবে সুযোগ পাচ্ছেন না। এই প্রসঙ্গে আপনার কি অভিমত?
বিশ্বজিৎ:- বড় ক্লাব যেমন ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান, এরা ট্রফি হান্টিং টিম। এরা যে কোনো টুর্নামেন্টে খেলে চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য। তাই এরা চেষ্টা করে সবসময় সেরা দল তৈরি করার। আর সেরা দল তৈরি করতে গেলে অনেক সময় সেন্টিমেন্টকে বিসর্জন দিতে হয়। কিন্তু আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, বাংলার ছেলেরা আজও মাথা দিয়ে ফুটবলটা খেলে। এবং বাংলায় প্রতিভার অভাব কোনোদিনই ছিল না, আজও নেই।
স্পোর্টস গ্যালারী:- ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিমাচকে কেমন লাগে?
বিশ্বজিৎ:- নিঃসন্দেহে উনি খুব বড় মাপের কোচ। খুব উঁচু দরের চিন্তা ভাবনা ওনার। ওনাকে দেখে মনে হয়, ভারতীয় দলকে কোচিং করানোটা কত সহজ। ওনার হাতে পড়ে গাড়ি ছুটতে শুরু করে দিয়েছে। শুধু স্টিয়ারিং টা ঠিকভাবে ধরতে হবে। আর লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। তাছাড়া সত্যি বলতে এখন ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের মোটিভেশনের কোনো অভাব নেই।
স্পোর্টস গ্যালারী:- শেষ প্রশ্ন, সরকারিভাবে আকাডেমী গঠন করার পরে আগামী দিনের লক্ষ্য কি?
বিশ্বজিৎ:- একটাই উদ্দেশ্য, বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলের জন্য নিয়মিতভাবে ভালো ভালো খেলোয়াড় তুলে আনা। আর কিছুই না।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন:- দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত
No comments:
Post a Comment