দূর্গাপূজো।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব।
আর এই উৎসব উপলক্ষে মেতে ওঠে সমগ্ৰ বিশ্বের বাঙালি সমাজ। বিভিন্ন পরিবার, ক্লাব, সমিতি বিভিন্ন রকমভাবে মন্ডপ এবং প্রতিমা নির্মাণ করে মা দূর্গার আরাধনা করে। এই উপলক্ষ্যে তাদের মধ্যে নানারকম প্রতিযোগিতাও চলে।
কলকাতার নন্দীবাগান ক্লাবের দ্বারা আয়োজিত দূর্গোৎসব এইবছর পদার্পণ করল সাতাশ বছরে। আর সাতাশতম বর্ষে দেবীর আরাধনায় লাল হলুদকে সম্বল করেই শুরু হল নন্দীবাগানের বাসিন্দাদের পথচলা। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই যে ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তার ওপর প্রিয় দলের শতবর্ষ বলে কথা!
তাই বাঙালির প্রাণের উৎসব দূর্গাপূজোকেই বেঁছে নিলেন প্রিয় দলের শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে। মন্ডপে প্রবেশের গেট থেকে আরম্ভ করে মন্ডপপ্রাঙ্গনের পার্শ্ববর্তী যে রাস্তা, সমস্তটাই মুড়ে ফেলা হয়েছে লাল হলুদে। শুধু তাই নয়, আশেপাশের বিভিন্ন স্থানের দেওয়াল অলঙ্কৃত করছে ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া অসংখ্য প্রাক্তন ও বর্তমান খেলোয়াড় ও বিভিন্ন সময়ে যাঁরা ইস্টবেঙ্গল দলের অধিনায়ক ছিলেন তাঁদের সুবৃহৎ ছবি। সঙ্গে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বহু সোনালী মুহূর্তের ছবি। কোথাও গোলের পর ভাইচুংয়ের দৌড়, কোথাও আশিয়ানজয়ী ইস্টবেঙ্গল দল, কোথাও বা পরিমল দের পাস ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করতে চলা। যা শততম বর্ষেও অম্লান। রয়েছে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল মানুষদের ছবিও। বাজছে লাল হলুদের শতবর্ষের গান।
সবমিলিয়ে এক অপূর্ব, মনোরম পরিবেশ। যেন একটুকরো লাল হলুদ পৃথিবী। যে জগতে প্রবেশ করলে গর্ববোধ করবেন যেকোনও ইস্টবেঙ্গল সভ্য, সদস্য বা সমর্থক। এবং বলে রাখা ভালো, এই আয়োজনের জন্য নন্দীবাগান ক্লাব ইতিমধ্যেই অর্জন করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব শারদ সম্মান।
কিন্তু এতেই শেষ নয়!
চমকের আরও বাকি আছে।
আগের দিন পূজো মন্ডপে উপস্থিত ছিলেন লাল হলুদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও সদস্য। আর আজ সপ্তমীর সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। প্রথমেই চলে আসে ইস্টবেঙ্গল দলের টিম বাস। কিছুক্ষণ পরে আগমন ঘটে বিভিন্ন সংবাদপত্রের সাথে যুক্ত সাংবাদিকদের। আলাপ, আলোচনায় নন্দীবাগান পূজোপ্রাঙ্গন যেন মিনি ইস্টবেঙ্গল। আর এর পরেই আসল চমক। এলেন আলভিটো ডি কুনহা। যার ডান পায়ের জোরালো শট আসিয়ান কাপ ফাইনালে কাঁপিয়ে দিয়েছিল বেক তেরো সাসানার জাল। বিভিন্ন সময়ে অজস্রবার যার বাঁ পা ইস্টবেঙ্গলের পরিত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই আলভিটো ডি কুনহা।
এরপর পাশের একটি অনাথালয় থেকে নিয়ে আসা হয় বেশ কিছু শিশু ও কিশোরকে। যাদেরকে সারাদিন কলকাতার বিভিন্ন পূজাপ্রাঙ্গন ঘুরিয়ে দেখানো হবে। মূলত সমাজসেবক প্রদীপ চক্রবর্তীর উদ্যোগেই এদের নিয়ে আসা হয়। মা দূর্গার কল্যাণময়ী রূপ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে জনমানসে তুলে ধরাই যে এই কাজের লক্ষ্য, তা আর বলে দিতে হয় না। এরপর সেই সমস্ত শিশু ও কিশোর অঞ্জলি প্রদান করে নন্দীবাগান পূজাপ্রাঙ্গনে। তাদের সঙ্গে অঞ্জলি দেন আলভিটোও। যিনি জন্মসূত্রে গোয়ানিজ হয়েও এখন মনেপ্রাণে বাঙালি।
অঞ্জলির পরে অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য আলোচনাসভা। যেখানে এসে অভিভূত প্রত্যেকেই। আলভিটো তো বলেই দিলেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁর হ্রদয়ে, এবং ইস্টবেঙ্গলকে ঘিরে যে কোনও কর্মকাণ্ডের অংশীদার হতে তিনি রাজি। দূর্গাপূজো উপলক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে এইরকম কর্মকাণ্ড আয়োজন করতে পেরে বেজায় খুশি নন্দীবাগান ক্লাব কতৃপক্ষ। মা দূর্গার আশীষ নিয়ে আগামী দিনে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার অপেক্ষায় তাঁরা, জানালেন ক্লাবের সভাপতি ও সচিব, দুজনেই।
সবমিলিয়ে তাই নন্দীবাগানে এবার অন্যরকম দূর্গাপূজো। যে পূজায় বিদ্যমান ছিন্নমূল বাঙালির আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব।
আর এই উৎসব উপলক্ষে মেতে ওঠে সমগ্ৰ বিশ্বের বাঙালি সমাজ। বিভিন্ন পরিবার, ক্লাব, সমিতি বিভিন্ন রকমভাবে মন্ডপ এবং প্রতিমা নির্মাণ করে মা দূর্গার আরাধনা করে। এই উপলক্ষ্যে তাদের মধ্যে নানারকম প্রতিযোগিতাও চলে।
কলকাতার নন্দীবাগান ক্লাবের দ্বারা আয়োজিত দূর্গোৎসব এইবছর পদার্পণ করল সাতাশ বছরে। আর সাতাশতম বর্ষে দেবীর আরাধনায় লাল হলুদকে সম্বল করেই শুরু হল নন্দীবাগানের বাসিন্দাদের পথচলা। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই যে ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তার ওপর প্রিয় দলের শতবর্ষ বলে কথা!
তাই বাঙালির প্রাণের উৎসব দূর্গাপূজোকেই বেঁছে নিলেন প্রিয় দলের শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে। মন্ডপে প্রবেশের গেট থেকে আরম্ভ করে মন্ডপপ্রাঙ্গনের পার্শ্ববর্তী যে রাস্তা, সমস্তটাই মুড়ে ফেলা হয়েছে লাল হলুদে। শুধু তাই নয়, আশেপাশের বিভিন্ন স্থানের দেওয়াল অলঙ্কৃত করছে ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া অসংখ্য প্রাক্তন ও বর্তমান খেলোয়াড় ও বিভিন্ন সময়ে যাঁরা ইস্টবেঙ্গল দলের অধিনায়ক ছিলেন তাঁদের সুবৃহৎ ছবি। সঙ্গে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বহু সোনালী মুহূর্তের ছবি। কোথাও গোলের পর ভাইচুংয়ের দৌড়, কোথাও আশিয়ানজয়ী ইস্টবেঙ্গল দল, কোথাও বা পরিমল দের পাস ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করতে চলা। যা শততম বর্ষেও অম্লান। রয়েছে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল মানুষদের ছবিও। বাজছে লাল হলুদের শতবর্ষের গান।
সবমিলিয়ে এক অপূর্ব, মনোরম পরিবেশ। যেন একটুকরো লাল হলুদ পৃথিবী। যে জগতে প্রবেশ করলে গর্ববোধ করবেন যেকোনও ইস্টবেঙ্গল সভ্য, সদস্য বা সমর্থক। এবং বলে রাখা ভালো, এই আয়োজনের জন্য নন্দীবাগান ক্লাব ইতিমধ্যেই অর্জন করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব শারদ সম্মান।
কিন্তু এতেই শেষ নয়!
চমকের আরও বাকি আছে।
আগের দিন পূজো মন্ডপে উপস্থিত ছিলেন লাল হলুদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও সদস্য। আর আজ সপ্তমীর সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। প্রথমেই চলে আসে ইস্টবেঙ্গল দলের টিম বাস। কিছুক্ষণ পরে আগমন ঘটে বিভিন্ন সংবাদপত্রের সাথে যুক্ত সাংবাদিকদের। আলাপ, আলোচনায় নন্দীবাগান পূজোপ্রাঙ্গন যেন মিনি ইস্টবেঙ্গল। আর এর পরেই আসল চমক। এলেন আলভিটো ডি কুনহা। যার ডান পায়ের জোরালো শট আসিয়ান কাপ ফাইনালে কাঁপিয়ে দিয়েছিল বেক তেরো সাসানার জাল। বিভিন্ন সময়ে অজস্রবার যার বাঁ পা ইস্টবেঙ্গলের পরিত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই আলভিটো ডি কুনহা।
এরপর পাশের একটি অনাথালয় থেকে নিয়ে আসা হয় বেশ কিছু শিশু ও কিশোরকে। যাদেরকে সারাদিন কলকাতার বিভিন্ন পূজাপ্রাঙ্গন ঘুরিয়ে দেখানো হবে। মূলত সমাজসেবক প্রদীপ চক্রবর্তীর উদ্যোগেই এদের নিয়ে আসা হয়। মা দূর্গার কল্যাণময়ী রূপ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে জনমানসে তুলে ধরাই যে এই কাজের লক্ষ্য, তা আর বলে দিতে হয় না। এরপর সেই সমস্ত শিশু ও কিশোর অঞ্জলি প্রদান করে নন্দীবাগান পূজাপ্রাঙ্গনে। তাদের সঙ্গে অঞ্জলি দেন আলভিটোও। যিনি জন্মসূত্রে গোয়ানিজ হয়েও এখন মনেপ্রাণে বাঙালি।
অঞ্জলির পরে অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য আলোচনাসভা। যেখানে এসে অভিভূত প্রত্যেকেই। আলভিটো তো বলেই দিলেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁর হ্রদয়ে, এবং ইস্টবেঙ্গলকে ঘিরে যে কোনও কর্মকাণ্ডের অংশীদার হতে তিনি রাজি। দূর্গাপূজো উপলক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে এইরকম কর্মকাণ্ড আয়োজন করতে পেরে বেজায় খুশি নন্দীবাগান ক্লাব কতৃপক্ষ। মা দূর্গার আশীষ নিয়ে আগামী দিনে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার অপেক্ষায় তাঁরা, জানালেন ক্লাবের সভাপতি ও সচিব, দুজনেই।
সবমিলিয়ে তাই নন্দীবাগানে এবার অন্যরকম দূর্গাপূজো। যে পূজায় বিদ্যমান ছিন্নমূল বাঙালির আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা।
No comments:
Post a Comment