বাংলাদেশ - ১
ভারত - ১
ম্যাচের অষ্টাশি মিনিট। বাংলাদেশের সাদ উদ্দিনের করা গোলে তখন ০-১ পিছিয়ে ভারত। যা চূড়ান্ত অপ্রত্যাশিত, তাই ঘটতে চলেছে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে ঘরের মাঠে ফিফা র্যাঙ্কিংএ তিরাশি ধাপ পিছিয়ে থাকা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের নিকট হারের ভ্রূকুটি উকি দিচ্ছে। বারবার আক্রমণ শানিয়েও গোল আসছে না। যুবভারতীতে উপস্থিত একষট্টি হাজারের কিছু বেশি দর্শক স্তম্ভিত। এরকম ফল যে ঘটতে পারে, তা কল্পনাই করতে পারেননি তাঁরা।
ঠিক এই সময় কর্নার পেল ভারত। ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজ নিলেন কর্নার। প্রথম পোস্টে ছিল সেটি। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা বোধহয় সুনীল এবং উদান্তাকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তাই আদিলকে নজরে রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি। আর সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে কর্নার উড়ে আসা বলে জোড়ালো হেড করলেন আদিল খান। এবং বল সরাসরি জালে। সমতা ফেরালো ভারত।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচ অমীমাংসিতই রয়ে গেল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কত গোলে ম্যাচটা জিততে পারত ভারত? পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের জেতা উচিৎ ছিল অন্তত চার থেকে পাঁচ গোলে। ভবিষ্যতে এই নিয়ে কিন্তু আপসোস করতে হতেই পারে ভারতকে।
অথচ এরকম হওয়ার কথা ছিল না। দর্শকঠাসা আলোক উদ্ভাসিত যুবভারতীতে শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় ভারত। নিজেদের মধ্যে প্রচুর পাস খেলে মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেন সুনীল, আশিক, উদান্তা, অনিরুদ্ধ থাপারা। উল্টোদিকে বাংলাদেশের একটাই লক্ষ্য ছিল। তা হল, দশজনে মিলে রক্ষণে পায়ের জঙ্গল তৈরি করে ভারতের গোল করা আটকানো এবং সুযোগ পেলে প্রতি আক্রমণে যাওয়া। এবং যেভাবেই হোক, প্রথমার্ধে এই কাজে সফল হয় তারা। উপরন্তু, বিয়াল্লিশ মিনিটে জামাল ভুইয়ার ফ্রিকিক বক্সে উড়ে আসলে ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু সেই বলের ফ্লাইট মিস করেন। পেছন থেকে এসে হেডে গোল করে যান সাদ উদ্দিন। পিছিয়ে পড়ে ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধ করার লক্ষ্যে ভারত সাঁড়াশি আক্রমণ চালায়। আশিক, ব্র্যান্ডন এবং উদান্তা রীতিমতো অসাধারণ ফুটবল খেলে বারংবার চাপ সৃষ্টি করেন বাংলাদেশ রক্ষণে। এইসময় উদান্তার ক্রসে মনভীর পা ছোঁয়াতে পারলে বা আনাসের হেড গোললাইন থেকে সেভ না হলে ভারত গোল পেতেই পারত। একাধিক সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সুনীলও। ফলে নিরন্তর আক্রমণ চালিয়েও গোল পাবার জন্য অষ্টাশি মিনিট অবধি অপেক্ষা করতে হয় ভারতকে। শেষমেশ আদিলের গোলে ভারতের মানরক্ষা হয়।
এই খেলায় ড্র করার ফলে ভারতের পয়েন্ট দাঁড়ালো তিন ম্যাচে দুই।
ভারত - ১
ম্যাচের অষ্টাশি মিনিট। বাংলাদেশের সাদ উদ্দিনের করা গোলে তখন ০-১ পিছিয়ে ভারত। যা চূড়ান্ত অপ্রত্যাশিত, তাই ঘটতে চলেছে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে ঘরের মাঠে ফিফা র্যাঙ্কিংএ তিরাশি ধাপ পিছিয়ে থাকা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের নিকট হারের ভ্রূকুটি উকি দিচ্ছে। বারবার আক্রমণ শানিয়েও গোল আসছে না। যুবভারতীতে উপস্থিত একষট্টি হাজারের কিছু বেশি দর্শক স্তম্ভিত। এরকম ফল যে ঘটতে পারে, তা কল্পনাই করতে পারেননি তাঁরা।
ঠিক এই সময় কর্নার পেল ভারত। ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজ নিলেন কর্নার। প্রথম পোস্টে ছিল সেটি। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা বোধহয় সুনীল এবং উদান্তাকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তাই আদিলকে নজরে রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি। আর সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে কর্নার উড়ে আসা বলে জোড়ালো হেড করলেন আদিল খান। এবং বল সরাসরি জালে। সমতা ফেরালো ভারত।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচ অমীমাংসিতই রয়ে গেল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কত গোলে ম্যাচটা জিততে পারত ভারত? পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের জেতা উচিৎ ছিল অন্তত চার থেকে পাঁচ গোলে। ভবিষ্যতে এই নিয়ে কিন্তু আপসোস করতে হতেই পারে ভারতকে।
অথচ এরকম হওয়ার কথা ছিল না। দর্শকঠাসা আলোক উদ্ভাসিত যুবভারতীতে শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় ভারত। নিজেদের মধ্যে প্রচুর পাস খেলে মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেন সুনীল, আশিক, উদান্তা, অনিরুদ্ধ থাপারা। উল্টোদিকে বাংলাদেশের একটাই লক্ষ্য ছিল। তা হল, দশজনে মিলে রক্ষণে পায়ের জঙ্গল তৈরি করে ভারতের গোল করা আটকানো এবং সুযোগ পেলে প্রতি আক্রমণে যাওয়া। এবং যেভাবেই হোক, প্রথমার্ধে এই কাজে সফল হয় তারা। উপরন্তু, বিয়াল্লিশ মিনিটে জামাল ভুইয়ার ফ্রিকিক বক্সে উড়ে আসলে ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু সেই বলের ফ্লাইট মিস করেন। পেছন থেকে এসে হেডে গোল করে যান সাদ উদ্দিন। পিছিয়ে পড়ে ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধ করার লক্ষ্যে ভারত সাঁড়াশি আক্রমণ চালায়। আশিক, ব্র্যান্ডন এবং উদান্তা রীতিমতো অসাধারণ ফুটবল খেলে বারংবার চাপ সৃষ্টি করেন বাংলাদেশ রক্ষণে। এইসময় উদান্তার ক্রসে মনভীর পা ছোঁয়াতে পারলে বা আনাসের হেড গোললাইন থেকে সেভ না হলে ভারত গোল পেতেই পারত। একাধিক সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সুনীলও। ফলে নিরন্তর আক্রমণ চালিয়েও গোল পাবার জন্য অষ্টাশি মিনিট অবধি অপেক্ষা করতে হয় ভারতকে। শেষমেশ আদিলের গোলে ভারতের মানরক্ষা হয়।
এই খেলায় ড্র করার ফলে ভারতের পয়েন্ট দাঁড়ালো তিন ম্যাচে দুই।
No comments:
Post a Comment