ব্যর্থতার দিনেও আলেহান্দ্র বুঝিয়ে দিলেন, আছেন খেলোয়াড়দের পাশেই। - দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত। - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

ব্যর্থতার দিনেও আলেহান্দ্র বুঝিয়ে দিলেন, আছেন খেলোয়াড়দের পাশেই। - দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত।

Share This

পিয়ারলেস - ১
ইস্টবেঙ্গল - ০
আবার হার কলকাতা লীগে!
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার!
শুধু হার ই নয়, এখনও পর্যন্ত এই মরশুমে সবচেয়ে খারাপ ম্যাচটি খেলল লাল হলুদ ব্রিগেড। গোটা ম্যাচে লাল হলুদের খেলা দেখে কখনোই মনে হয়নি, যে তারা জিততে পারে।
ম্যাচে পিয়ারলেসের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আনসুমানা ক্রোমা। পেনাল্টি থেকে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পরে এদিন আরও এক বড় দল, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও ভালো খেললেন গোটা ম্যাচ। এই জয়ের ফলে পিয়ারলেস ছয় ম্যাচে তেরো পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেল লীগ তালিকার শীর্ষে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হোল, এরকম খারাপ ম্যাচের পরেও খেলোয়াড়দের পাশেই দাঁড়ালেন কোচ আলেহান্দ্র। কারণ তিনি জানেন, খারাপ সময়ে খেলোয়াড়দের পাশে থাকাটা খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ। এবং ম্যান ম্যানেজমেন্টের একটা অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হচ্ছে, "সাপোর্ট ডিউরিং দি টাফ টাইমস"। যে কারণে রিয়াল মাদ্রিদে থাকাকালীন তাঁর হাত দিয়ে বেড়িয়েছে দানি কারভাহাল, আলভারো মোরাতার মতন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়রা। এবং এদিনও জারি রাখলেন পরীক্ষা নিরীক্ষা। আগের দিন রক্ষণে বোরহার পাশে খেলিয়েছিলেন আশিরকে। এদিন খেলালেন মেহতাব সিংকে। আগের ম্যাচে কাশিমকে প্রথম একাদশে রাখেননি। এদিন কিন্তু শুরু থেকেই খেলালেন কাশিমকে। অর্থাৎ বিভিন্ন কম্বিনেশন যাচাই করে নিচ্ছেন আই লীগের জন্য।
শুধু কি তাই? আলেহান্দ্র যবে থেকে লাল হলুদের হেডস্যার হয়েছেন, ক্রমাগত জোর দিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়ে তুলে আনার ব্যাপারে। কারণ উনি জানেন, যদি আই লীগ জিততে হয়, শক্তিশালী প্রথম একাদশের সাথে সাথে শক্তিশালী রিসার্ভ বেঞ্চও দরকার। এবং সেটা তখনই তৈরি হবে, যখন একটা দলের সমস্ত খেলোয়াড়ই পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে মাঠে নামার, এবং জুনিয়ররা উঠে আসবে। এবং সমস্ত খেলোয়ারকে সুযোগ দিয়ে তৈরি করতে গেলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেই হবে। এবং সেটা করার কোনও সুযোগ আই লীগে পাওয়া যাবে না। সেখানে সেট দলই খেলাতে হবে। তাই যাবতীয় পরীক্ষা উনি সেরে নিচ্ছেন কলকাতা লীগে। জানেন, এই ট্রফি লাল হলুদ বহুবার পেয়েছে। কাজেই এক বছর যদি কলকাতা লীগ নাও জেতা যায়, কোনও ক্ষতি নেই। বরং আই লীগ, যেটা কিনা দীর্ঘ ষোল বছর ইস্টবেঙ্গল জেতেনি, সেটা জেতা অনেক বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ। সাথে তিনি চান সুপার কাপও জিততে। এবং এএফসি কাপে ভালো ফল করতে। তাই কলকাতা লীগকেই বেছে নিয়েছেন সমস্ত খেলোয়াড়দের দেখে নেবার জন্য, তাঁদের শক্তি, দুর্বলতা যাচাই করার জন্য। এবং কম্বিনেশন টেস্টিং করার জন্য। তাই এখানে এক আধটা ম্যাচ হারলে বা খারাপ খেললে কিছু যায় আসে না। বরং ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে একটা ভালো দল গঠন করা অনেক বেশী জরুরি।
যার উত্তর হয়ত ভবিষ্যতেই পাওয়া যাবে।

Image may contain: 1 person, standing, outdoor and nature

No comments:

Post a Comment

Pages