রামধনুর রঙের ধাঁধা সমাধান করে জয়ের সরণিতে পালতোলা নৌকা। - দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

রামধনুর রঙের ধাঁধা সমাধান করে জয়ের সরণিতে পালতোলা নৌকা। - দীপ্তাশিস দাশগুপ্ত

Share This
মোহনবাগান - ১
রেনবো এসি - ০

স্বস্তিতে সবুজ মেরুন শিবির!

গত ম্যাচে হেরে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছিল তারা। এদিন রেনবোকে হারিয়ে পয়েন্টের বিচারে শীর্ষে থাকা পিয়ারলেসকে ধরে ফেলল মোহনবাগান। যদিও পিয়ারলেসের থেকে তারা একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে।

এদিন শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তায় হাঁটে মোহনবাগান। যদিও রেনবোর রক্ষণভাগ আঁটসাঁট থাকায় সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি তারা। মোহনবাগান মাঝমাঠের প্রাণভোমরা জোসেব বেইতিয়াকে কড়া নজরে রাখেন রেনবোর খেলোয়াড়রা। এবং উল্টোদিকে বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে ফেলে রেনবো। সেইসময় সবুজ মেরুন গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার তৎপর না থাকলে বিপদ ঘটতেই পারত। প্রথমার্ধের শেষে খেলার ফলাফল ছিল গোলশূন্য।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য খেলার রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় মোহনবাগান। বারবার আক্রমণ শানাতে থাকে তারা কাঙ্খিত গোলের লক্ষ্যে। এবং খেলার পয়ষট্টি মিনিটে সেই কাজে সফল হয় তারা। বেইতিয়ার কর্নার বক্সের মধ্যে উড়ে আসলে তা থেকে জোরালো হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন শুভ ঘোষ। এই নিয়ে পরপর দুটি খেলায় গোল করলেন এই বঙ্গতনয়। আগের দিন এরিয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবধান কমানোর পর এদিন রেনবোর বিরুদ্ধে জয়সূচক গোল করে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর ওপর আস্থা রেখে মোহন কোচ কিবু ভিকুনা কোনও ভুল করেননি। গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলায় আরও বেশি করে দাপট দেখাতে শুরু করেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা।খেলার একেবারে অন্তিম লগ্নে বেইতিয়ার ফ্রিকিকে চামোরোর হেড পোস্টে না লাগলে গোলের সংখ্যা বাড়াতেই পারতো মোহনবাগান। কিন্তু না, আর গোল হয়নি। ফলে স্কোর ১-০ ই থেকে যায় শেষ পর্যন্ত।

এই ম্যাচে রেনবোর কোচের দায়িত্ত্বে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের খ্যাতনামা লেফট ব্যাক সৌমিক দে।চিরকাল লাল হলুদের ঘরের ছেলে হিসেবেই পরিচিত তিনি। এবং কাকতালীয় ব্যাপার হল, প্রশিক্ষক হিসেবে তাঁর অভিষেক ঘটলো কিনা লাল হলুদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই। এবং প্রথম খেলাতেই বড় দলের বিপক্ষে কোচ হিসাবে ভালোই নজর কাঁড়লেন তিনি। 





ছবি সৌজন্যেঃ- তন্ময় দাস।




No comments:

Post a Comment

Pages