মরশুমের প্রথম ট্রফি আইএফএ শিল্ড আগেই জেতা হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী লক্ষ্য কলকাতা লিগ। ৩রা অগস্ট লাল হলুদের প্রথম খেলা টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে। সেই লক্ষ্যে পৌছতে তাই জোর কদমে অনুশীলন চলছে লাল হলুদ শিবিরে। ভরা শ্রাবণেও এতটুকু খামতি নেই। ইতোমধ্যেই ৩৯ বার এই লিগ জিতে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। যা কিনা রেকর্ড। শুধু তাই নয়, শেষ আট বছরে আট বার ই এই ট্রফি ঘরে তুলেছে লাল হলুদ দল। যা কিনা এক নয়া ইতিহাস। সেই ইতিহাস কে এবার দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যেই তাই এবারের কলকাতা লিগে মাঠে নামবেন লাল হলুদের ফুটবলার রা। এবারের দল ও বেশ ভালই শক্তিশালী। গতবারের দলের বেশীরভাগ ফুটবলার কেই রেখে দিয়েছেন কর্তারা। যার ফলে দলের মধ্যে বোঝাপড়ার সমস্যা হবার কথা নয়। তাদের সাথে লালরিনডিকা রালতের মত জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে ভরসা দেবে লাল হলুদ শিবির কে। শুধু তাই নয়, আক্রমণভাগে শক্তি বৃদ্ধি করবার জন্য কর্মকর্তারা মিনারভা পাঞ্জাব থেকে বালি গগনদীপের মত প্রতিভাবান স্ট্রাইকার কে রিক্রুট করেছেন। যা কিনা দলের শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে বলেই বিশ্বাস বিশেষজ্ঞ মহলের। গতবার সারা মরশুম ই প্রায় গোলরক্ষক সমস্যায় ভুগেছে ইস্টবেঙ্গল। এবার তাই কর্মকর্তারা কোনও ঝুকি না নিয়ে শুরুতেই রক্ষিত ডাগার ও অভ্র মণ্ডলের মতন নামী গোলরক্ষক কে সই করিয়েছেন। তিনকাঠির তলায় এদের মধ্যে যেকোনো একজনের উপস্থিতি যে দলের রক্ষণ ভাগ কে বাড়তি স্বস্তি দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবছর ইস্টবেঙ্গল তাদের নিজস্ব অ্যাকাডেমি থেকেও বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিমান খেলোয়াড় কে সিনিয়র দলে জায়গা দিয়েছে। সিনিয়র দলে সুযোগ পাওয়া তে এইসব তরুণ রাও তাই মুখিয়ে থাকবে নিজেদের সেরা টা দেবার জন্য।
বিদেশী খেলোয়াড় দের মধ্যে সিরিয়ার মাহমুদ আল-আমনা কে রেখেই এবারের দল সাজিয়েছেন ক্লাবকর্তারা। এই বিদেশী ফুটবলার গত মরশুমে ধারাবাহিক ভাবে অসাধারণ ফুটবল খেলেছেন। তাই তাঁকে কে বাদ দেবার প্রশ্নই ওঠে না। এবার ও মাঝমাঠে খেলা তৈরি করার ক্ষেত্রে ও ফরওয়ার্ড দের ভালো বল বাড়ানোর জন্য তার ওপর ই নির্ভর করবে ইস্টবেঙ্গল শিবির। গতবছর কলকাতা লিগ এবং আই লিগে বহু খেলাতেই বিশ্রী গোল হজম করার ফলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নষ্ট হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। বিশেষত, আই লিগ জেতার মত পরিস্থিতি তৈরি করেও যে জিততে পারেনি লাল হলুদ শিবির গত বছর, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে রক্ষণভাগের ব্যর্থতা। তাই এই দিকেও কর্তারা বিশেষ নজর দিয়েছেন। নিয়ে এসেছেন কাশিম আইদারার মত সফল ডিফেন্সিভ ব্লকার কে। গত বছর মিনারভার আই লিগ জেতার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। এছাড়াও কিংশুক দেবনাথ ও কমলপ্রীত সিংহের মত অভিজ্ঞ রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ও যুক্ত হয়েছেন এবারের দলে। তাই এবার ও ইস্টবেঙ্গল কে কাগজে কলমে অন্যতম ফেভারিট ধরাই যায় কলকাতা লিগ জেতার ব্যাপারে।
কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের পুরো দলঃ-
গোলরক্ষক
রক্ষিত ডাগার, অভ্র মণ্ডল, মিরশাদ মুচু, সিকে উবেইদ।
ডিফেন্ডার
কিংশুক দেবনাথ, কমলপ্রীত সিং, রাহুল ঘোষ, লালরোজামা ফানাই, মেহতাব সিং, সালাম রঞ্জন সিং, লালরামচুলভা, কৌশিক সরকার, সামাদ আলি মল্লিক।
মিডফিল্ডার
লালরিনডিকা রালতে, কাশিম আইদারা, সঞ্চয়ন সমাদ্দার, বিদ্যাসাগর সিং, তেলেম সুরঞ্জিত সিং, মাহমুদ আল-আমনা, সুরাবুদ্দিন মল্লিক, প্রকাশ সরকার, লালডানমাউইয়া রালতে, জিনকাহলেন হাওকিপ, ব্রানডন ভানলালরেমদিকা।
ফরওয়ার্ড
বালি গগনদীপ, জবি জাসটিন, তেতেপুইয়া।
কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের পুরো দলঃ-
গোলরক্ষক
রক্ষিত ডাগার, অভ্র মণ্ডল, মিরশাদ মুচু, সিকে উবেইদ।
ডিফেন্ডার
কিংশুক দেবনাথ, কমলপ্রীত সিং, রাহুল ঘোষ, লালরোজামা ফানাই, মেহতাব সিং, সালাম রঞ্জন সিং, লালরামচুলভা, কৌশিক সরকার, সামাদ আলি মল্লিক।
মিডফিল্ডার
লালরিনডিকা রালতে, কাশিম আইদারা, সঞ্চয়ন সমাদ্দার, বিদ্যাসাগর সিং, তেলেম সুরঞ্জিত সিং, মাহমুদ আল-আমনা, সুরাবুদ্দিন মল্লিক, প্রকাশ সরকার, লালডানমাউইয়া রালতে, জিনকাহলেন হাওকিপ, ব্রানডন ভানলালরেমদিকা।
ফরওয়ার্ড
বালি গগনদীপ, জবি জাসটিন, তেতেপুইয়া।
No comments:
Post a Comment