নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: স্পনসর ইউ বি গ্রুপ হাত তুলে নেওয়ায় চরম আর্থিক সংকটে ইস্ট বেঙ্গল। ইউ বি ও ইস্ট বেঙ্গলের ২০ বছরের সম্পর্ক ভাঙা সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই একে-একে ইস্ট বেঙ্গল মাঠে থাকা স্পনসরের বিল বোর্ড, হোর্ডিংগুলো সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইউ বি’র বদলে ইস্ট বেঙ্গলের টাইটেল স্পনসর কে হবে, তার আপাতত কোনও সদুত্তর নেই। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আইনি পরামর্শ নিয়ে ইউ বি তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।
তার আগে বড় অঙ্কের স্পনসর জোগাড় করতে এবছর সঞ্জিত সেন নামে এক মার্কেটিং বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করেছে ইস্ট বেঙ্গল। তিনি একদা বড় সংস্থার পদে ছিলেন। এরপর আরও কয়েকজন মার্কেটিং স্পেশালিস্ট নিয়োগ করবে ইস্ট বেঙ্গল। এক শীর্ষ কর্তা জানালেন, ‘আগামী একবছর হয়তো একটু কষ্ট হবে। কিন্তু ক্লাবের আর্থিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করতে মার্কেটিং স্পেশালিস্টের সাহায্য নেওয়া ছাড়া গতি নেই। কারণ আমাদের মতো কর্তাদের মুখ দেখে আর স্পনসর আসবে না।’ কর্তারা মনে করছেন, একটা সময় ইউ বি’র গ্রুপের মাথায় ছিলেন বিজয় মালিয়া। তিনি চাইলেই টাকা দিয়েছেন। এখন ইউ বি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখর রামমূর্তি কোম্পানির চাকুরে। বোর্ড অব ডিরেক্টর যদি ইস্ট বেঙ্গলের বাজেট বাড়াতে না চায় তাহলে রামমূর্তির এক টাকাও বাড়তি আদায় করার ক্ষমতা নেই। তাই দেড় কোটি দিয়ে কিংফিশার ইস্ট বেঙ্গলের কো-স্পনসরই হতে চলেছে। ভেঙে যাচ্ছে দুই পক্ষের যৌথ কোম্পানি।
এখানে ইউ বি’র ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ইস্ট বেঙ্গলের ৫১ শতাংশ। অলাভজনক এই সংস্থায় ইউ বি’কে নিজেদের শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ইস্ট বেঙ্গলের পক্ষ থেকে। এই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দু’তিন বছর সময় লাগতে পারে। তার আগে ইস্ট বেঙ্গল নিজেদের মতোই দল গঠন ও পরিচালনার কাজে এগোবে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে। খরচ বাঁচাতে কলকাতা লিগে টিডি সুভাষ ভৌমিক ও সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরিকে দিয়েই কাজ চালিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে ইস্ট বেঙ্গল। আই লিগের আগে ‘এ’ লাইসেন্স কোচের কথা ভাবা যাবে। এক কর্তা বললেন, ‘কলকাতা লিগ খেলার জন্য আমার দল প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। আই লিগের আগে নেওয়া হবে নতুন বিদেশি।’
No comments:
Post a Comment