সবুরে মেওয়া ফলে | দেবু দত্ত - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

সবুরে মেওয়া ফলে | দেবু দত্ত

Share This
আজকের যুগে যে কোনও খেলায় তা সে কুস্তির  মতো  ব্যাক্তিগত হউক বা ফুটবলের মতো  দলগত হউক স্পন্সর থাকা একটি আবশ্যিক   ধর্ম ! নয়তো খেলা এবং সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যায় বা যাবে !  এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মোহনবাগানের মতো একটি সর্বভারতীয় দল কি ভাবে গত তিন বছর ধরে ফুটবল বা ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পনসর ছাড়া পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে একটি ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে যেখানে প্রতিপক্ষ অন্য দল গুলোর ভালো ভালো  স্পনসর ছিলো ?

 
টুটু বসু , সৃঞ্জয় বসু বা দেবাশিস দত্তদের কি এই স্পন্সর হীন মোহনবাগানকে এভাবে একটি দুরন্ত দলগত সংহতির ক্ষেত্র করে তুলতে এবং দেশের সেরা সেরা খেলোয়াড়কে দলে আনার ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকাই ছিলো না বা নেই !! স্পন্সর ছাড়াই যদি একটি দল এমন পারফরমেন্স করতে পারে তাতে দোষের কি ? জানি অনেকেই AFC র কথা বলবেন ! হ্যাঁ আমিও চাই AFC তে মোহনবাগান ভালো পারফরমেন্স করুক এবং নিশ্চই আগামীতে মোহনবাগান এটা করে দেখাবে ! যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা...কিছু লোক আছেন যারা অন্ধ বর্তমান কর্তাদের বিরুধী , যারা বলেন মোহনবাগানের এই ভালো দল বা ভালো পারফরমেন্স নাকি কর্তাদের সমর্থকদের আই ওয়াশ করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় ! হাসবো না কাঁদবো বুঝে উঠতে পারিনা ! চাঁদের যেমন কলঙ্ক আছে ঠিক তেমনি মানুষও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয় ! নিশ্চয়ই কর্তাদের অনেক সিদ্বান্ত মনঃপূত হয়নি নিজেদের দৃষ্টিকোন থেকে তখন সমালোচনা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য কিন্তু ভালো কাজগুলোরও তো পাশাপাশি প্রশংসা করা যায় যেটা কিছু মানুষ চরমতম পাপ বলে মনে করেন ! ফেড কাপে দলের পারফরমেন্স বা দলকে বুস্টআপ করা নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই ! দল চ্যাম্পিয়ন হলে ঠিক আছে কিন্তু যদি না হয় কলম বা কম্পিউটার মাউসে আঙ্গুল দিয়ে প্রস্তুত কর্মকর্তা বা কোচের মুন্ডুপাত করার জন্যে ! আমার দর্শন পরিষ্কার দল চ্যাম্পিয়ন হলে যেমন প্রানখুলে আনন্দ করবো তেমনি হেরে গেলে হাত পা গুটিয়েকাঁদতে কাঁদতে কোচ আর কর্তাদের মুন্ডুপাত করবো না ! সাময়িক মন খারাপ নিশ্চই হবে কিন্তু সেটা কাটিয়ে উঠে আবার দলকে চিয়ার আপ করতে বেশী সময় নেবো না আর টুটু বসু দের প্রতি একটি ব্যাক্তিগত ভাললাগার ব্যাপার রয়েছে এনারা এই মোহনবাগানকে অনেক ঐতিহাসিক গোড়ামী থেকে মুক্ত করেছেন যেমন বিদেশী খেলোয়াড় খেলানো , মহিলাদের সদস্য করা , বিভিন্ন আইনি ঝুট ঝামেলা থেকে দলকে মুক্ত করা এবং ইস্টবেঙ্গল কে  দলবদলে  একচেটিয়া রাজত্বে থাবা বসিয়ে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়া ! ময়দান এখন জানে মোহনবাগান যাকে টার্গেট করে তাকে নেয় ! আর ময়দানে ইস্টবেঙলের মাইরা লামু , কাইট্যা লামু শারীরিক ভাষা আজ মোহনবাগানিদের মধ্যেও সংক্রামিত হয়েছে অর্থাত্ আজ ইস্টবেঙ্গল বা অন্য দলগুলোর সমর্থকদের চোখে চোখ রেখে চলার মানসিকতা কিন্তু নব্বই দশক থেকে এই কর্তাদের আমল থেকেই অনেকটা শুরু হয়েছে ! আসলে যুগের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় তাই বলে মেরিনারদের মধ্যে কিন্তু ঐতিহ্য , শিক্ষা , সংস্কৃতি , সম্মান এগুলো কমেনি ! একজন জুনিয়র মেরিনার অন্যায় করলে সে চেনা হউক বা অচেনা তাকে ভর্ত্সনা করার অধিকার সিনিয়রদের আছে  এবং সেটা সিনিয়ররা করেন এবং জুনিয়ররা মানেন ! শেষে একটাই কথা বলবো ভরসা রাখুন টিম ম্যানেজমেন্টের উপর ! ইস্টবেঙ্গল ISL খেলবে আর  মোহনবাগান খেলবে না এটা কখনোই হতে পারেনা এবং হবেও না আর স্পন্সরও আসবে প্রয়োজন মতো এবং সময় মতো জানি এটাও বলবেন অনেকেই গত কয়েকবছর ধরেই তো শুনছি স্পনসর আসবে স্পনসর আসবে কিন্তু আসেনা তখন প্রয়োজন হয়নি এখন ISL এ খেললে নিশ্চই আসবে এবং নিজেদের প্রয়োজনেই আসবে ! মোহনবাগানিরা ধৈর্য ধরতে জানে এবং সবুরও  করতে পারে আর কে না জানে সবুরে মেওয়া ফলে l

No comments:

Post a Comment

Pages