শেষ আই-লিগ এসেছিল ১৪ বছর আগে। ২০০৩ সালের পর থেকে আর জাতীয় লিগের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। এই নিয়ে লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষোভ ছিলই। এ বার ফিরতি ডার্বির আগে পর পর দুটো ম্যাচ হারায় সমর্থকদের চাপা ক্ষোভ জমছিল কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের বিরুদ্ধে। গত রবিবার মোহনবাগানের কাছে হেরে যাওয়ার পর সেই ক্ষোভ চরমে পৌঁছল। আজ সকাল থেকে সমর্থকদের তুমুল বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল মাঠ, ইস্টবেঙ্গল টেন্ট। দাবি একটাই, মর্গ্যানকে তাড়াতে হবে অবিলম্বে।
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ ক্লাবের মাঠেই অনুশীলনে নামার কথা ছিল ফুটবলারদের। তাঁরা মাঠে এসে পৌঁছনোর আগেই তাঁবু ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সমর্থকরা। বারবার স্লোগান উঠছিল, ‘গো ব্যাক মর্গ্যান’।
এই সময়ই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে অপ্রীতিকর অঙ্গভঙ্গি করেন গোলকিপার রেহনেশ। এতেই বিক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। ক্ষেপে গিয়ে ক্লাব তাঁবুতে ঢুকে পড়েন সমর্থকরা।
বিক্ষোভের কারণে প্রায় ২৫ মিনিট দেরিতে প্র্যাকটিসে নামেন ফুটবলাররা।
অনুশীলন শেষে দলের বেড়িয়ে যাওয়ার সময় আর এক প্রস্থ গোলমালের সূত্রপাত হয়। সমর্থকদের ধাক্কা সামলে কোনও মতে গাড়িতে গিয়ে ওঠেন মর্গ্যান। কোচের গাড়ি আটকেও চলতে থাকে বিক্ষোভ। এর পরেই ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকার(নিতু)-এর কাছে ১৫টি দাবি জানিয়ে একটি লিখিত পিটিশন জমা দেন সমর্থকরা। ক্লাবের তরফে দু’দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ কমে।
তবে শুধু সমর্থকরাই নন, ইস্টবেঙ্গল দলের ভিতরেও নানা ইস্যুতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ডার্বি হারের পর বিদেশি খেলোয়াড়দের দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন লাল-হলুদের ১০ বছরের সৈনিক মেহতাব হোসেন।
No comments:
Post a Comment