ভিভিয়ান রিচার্ডস: প্রতিভাই হোক বা বিনোদন, এবারের আইপিএল কিন্তু আমাকে হতাশ করছে না। প্রত্যেকটা ম্যাচই আলাদা আলাদা ভাবে অসাধারণ হয়ে উঠছে। আইপিএলের সবথেকে ধারাবাহিক দল চেন্নাই সুপার কিংস আজ মুখোমুখি হবে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের, যারা এবার এখনও পর্যন্ত নিজেদের ছন্দ খুঁজে পায়নি। খাতায়–কলমে দুটোই ভাল দল। কিন্তু মাঠে নেমে পারফর্ম করানোর বিচারে দু’দলের পার্থক্যটা বেশ স্পষ্ট। দিল্লি এমন একটা দল যারা তারুণ্যের ওপর ভিত্তি করে একের পর এক ম্যাচ জিততে চাইছে। অন্যদিকে, চেন্নাই দলে অভিজ্ঞতার কোনও অভাব নেই। ওরা দেখিয়ে দিচ্ছে অভিজ্ঞতা দিয়ে কীভাবে ম্যাচ জেতা যায়।
চেন্নাইয়ের শক্তিশালী টপ অর্ডার প্রায় প্রত্যেকটা ম্যাচেই রান করায়, বড় রান তাড়া করতে বা তুলে ফেলতে ওদের কোনও সমস্যার মধ্যেই পড়তে হচ্ছে না। তবে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের জয় দেখে এটা অন্তত ক্রিকেটপ্রেমীরা বুঝে গেলেন যে টি২০ ক্রিকেটে যে–কোনও কিছু হতেই পারে। একটা বাজে দিন গেলে ম্যাচ হারতে হতে পারে। নিজের স্টান্সে পরিবর্তন এনে সুরেশ রায়না আবারও কিন্তু পুরনো ফর্মে ফিরে এসেছে। আগেরদিনও হাফ সেঞ্চুরি করে গেল। জাদেজা এবং ব্রাভোর মতো অলরাউন্ডার রয়েছে ওদের দলে, যারা ব্যাট এবং বলের সাহায্যে যে–কোনও সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। আর রয়েছে ঠান্ডা মাথার অধিনায়ক ধোনি, যে–কোনও ম্যাচ অনায়াসে শেষ করে আসতে যার জুড়ি নেই। সেরাদের মধ্যে সেরা হতে গেলে যা থাকা দরকার, সেটা এই চেন্নাই দলের রয়েছে।
কলকাতাকে হারিয়ে দিল্লি কিছুটা হলেও নিজেদের ছন্দ খুঁজে পেয়েছে। তরুণ শ্রেয়স আইয়ার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে মরশুমের সর্বোচ্চ স্কোরে পৌঁছতে সাহায্য করল। আরেক তরুণ, ভারতের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক পৃথ্বী শ–ও নিজের অবদান রেখে গেল। ফলে দিল্লির সমর্থকরা কিছুটা হলেও শান্তি পেয়েছে। ট্রেন্ট বোল্টের নিখুঁত স্যুইং বোলিং ওকে এবারের আইপিএলের সবথেকে সফল বোলার হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। কেউ কেউ আবার যুক্তি পাড়েন যে, গৌতম গম্ভীর অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার পরেই বোধহয় গোটা দলের মনে হয়েছে এবার কিছু একটা করে দেখাতে হবে। টুর্নামেন্ট এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এখন দেখার ধোনি অ্যান্ড কোংকে আটকাতে কী স্ট্র্যাটেজি নেয় শ্রেয়স।
টুর্নামেন্টের মাঝামাঝি এসে প্রত্যেকটা দলই নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে এবং নিজেদের শক্তি–দুর্বলতা খুঁজে বের করে ফেলেছে। চেন্নাই যে লিগ তালিকায় শীর্ষে বসে রয়েছে এতে তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে দিল্লিকে প্রথম চারে থাকতে হলে ওদের সিনিয়র প্লেয়ারদের এগিয়ে এসে নিজেদের অবদান রাখতে হবে। কারণ, যে–কোনও টি২০ সিরিজের মতো আইপিএলে শেষের আগে কিছু শেষ হয় না।
No comments:
Post a Comment