পঙ্কজ রায়, দ্রাবিড়ের মনোনয়ন নিয়ে বোর্ড–‌সিওএ প্রবল লড়াই | আজকাল - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

পঙ্কজ রায়, দ্রাবিড়ের মনোনয়ন নিয়ে বোর্ড–‌সিওএ প্রবল লড়াই | আজকাল

Share This


দেবাশিস দত্ত: কথায় কথা বাড়ে।বাড়ছেও। নিয়ম করে। এবং তা করতে গিয়ে বোর্ড বনাম সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত প্রশাসকদের সঙ্গে লড়াই এমন নোংরা পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে কোনও শিবিরের ছোটখাটো খুঁত বড় আকারে তুলে ধরা হচ্ছে। এবং এই মর্মে প্রচারমাধ্যম, যে যার মতো করে এই বাজারে বিতর্কটাকে জমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের পঙ্কজ রায়কেও বিতর্কে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে তাঁর জীবনকৃতি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানলাম, মৃত্যুর পর কোনও ক্রিকেটারকে জীবনকৃতি পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম নেই। এ জন্য বিনু মানকড়, বিজয় মার্চেন্টের মতো ক্রিকেটারদের মরণোত্তর জীবনকৃতি পুরস্কার দিতে পারেনি বোর্ড। পরিবর্তে এই দু’‌জন ক্রিকেটারের মৃত্যুর পর বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। বোর্ডের প্রাচীনপন্থী কর্তারা এই নিয়ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই, তাঁরাই লিখিতভাবে বোর্ডকে জানাতে শুরু করে দিয়েছেন যে, পঙ্কজ রায়কে কর্নেল সি কে নাইডু স্মৃতি পুরস্কার হিসেবে জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া উচিত হবে না। দিলে, তা আইনসিদ্ধ হবে না। তার বদলে বাংলার এই কৃতী ব্যাটসম্যানকে দেওয়া উচিত বিশেষ পুরস্কার, যেমন দেওয়া হয়েছিল বিনু মানকড় এবং বিজয় মার্চেন্টকে।

বোর্ডের এই অংশ মনে করছে রাহুল দ্রাবিড়কে দ্রোণাচার্য পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের সিদ্ধান্তও ঠিক নয়। রাহুল একজন বিশিষ্ট প্রাক্তন ক্রিকেটার। যিনি দারুণভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। প্রাথমিকভাবে তিনি ক্রিকেটার। কোচ নন। দ্রোণাচার্য পুরস্কার দেওয়া উচিত সেই ব্যক্তিত্বদের, যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে নিজেদের জীবন কাটিয়েছেন শুধুমাত্র বিশেষ একটি খেলার ক্রীড়াবিদদের তুলে আনার পেছনে। যেমন, রমাকান্ত আচরেকার, দেশপ্রেম আজাদ, সৈয়দ নঈমুদ্দিন প্রমুখ। সেখানে রাহুল দ্রাবিড়কে দ্রোণাচার্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড, একটি বা দুটি প্রতিযোগিতায় ভারতের কমবয়সি ছেলেদের ভাল খেলার কারণে!‌
এই যুক্তি খণ্ডানো কঠিন। তাই, বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এখন প্রশ্ন হল, কারা এই ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন?‌ প্রথম আঙুল উঠছে রাহুল জহুরির ওপর। 

বোর্ডের এই সিইও বছর দুয়েক ধরে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। মাসিক মাইনে পাঁচ কোটি টাকা। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্তরমহলের ব্যাপারস্যাপার বিশেষ জানেন না। একজন কর্পোরেট জগতের মানুষ। এরকম ব্যক্তিত্ব বহু সংগঠনে আছেন, যাঁরা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মকানুন না জেনে। এই ভদ্রলোকই অভিজ্ঞ কর্তা অধ্যাপক রত্নাকর শেঠিকে নিঃশব্দে গত মাসে ছেঁটে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আমরা নিশ্চিত, রত্নাকর শেঠি এমন সভায় থাকলে বোর্ড এমন ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। অজ্ঞতার কারণেই এমন দুটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ভারতীয় বোর্ড।‌‌

No comments:

Post a Comment

Pages