সুনীল গাভাসকার: পয়েন্ট তালিকায় যেভাবে দলগুলোর ওঠানামা হচ্ছে, তাতে আইপিএলের আকর্ষণ বাড়াটাই স্বাভাবিক। শীর্ষে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েই কি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হল? মনে রাখতে হবে, আগেও শুরুর দিকে হেরে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই। রোহিত শর্মা যেভাবে দায়িত্ব নিয়েছে এবং ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে এক ধাপ তুলে নিয়ে এসে দলকে জিতিয়েছে, সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রোহিতের রেকর্ড অসাধারণ। ফলে স্বাভাবিক বুদ্ধি বলে, ওর যতটা সম্ভব বেশি ওভার খেলা উচিত। ব্যাটিং অর্ডারে যত ওপরের দিকে নামবে, তত সেই সম্ভাবনা বাড়বে।
গতবারের চ্যাম্পিয়নদের কাছে ফিরতি ম্যাচে চেন্নাই হারলেও ওদের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আছে। ওদের সামনে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। মুম্বইয়ের মতো দিল্লিও একের পর এক হারের পর জিতেছে। ওদের নতুন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারের অসাধারণ ইনিংসের জন্য এবার প্রথম ওরা ২০০–র ওপর রান করতে পেরেছে। ওদেরও কি ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হল? বিপক্ষকে সমস্যায় ফলে দেওয়ার মতো বোলিং ওদের আছে। আর শ্রেয়স আইয়ার যেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাতে ওরা ঘুরে দাঁড়াতেই পারে। তার ওপর রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শ আছে। কিন্তু আর হারলে চলবে না।
দুই তরুণ ভারতীয় জোরে বোলারকে আউট হওয়া ব্যাটসম্যানের উদ্দেশে গালিগালাজ করার জন্য ভর্ৎসনা করা হয়েছে দেখে ভাল লাগল। এটা একটা রোগ। মহামারীর আকার ধারণ করার আগেই একে মেরে ফেলা উচিত। ওরা টেলিভিশনে ওদের নায়কদের দেখছে এরকম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই ভাবছে এটাই বুঝি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার ধরন। ভর্ৎসনা করার ফলে ওদের কাছে একটা সতর্কবার্তা পৌঁছল। এবার ওরা এবং বাকিরা বুঝবে জয়ের পরেও বিপক্ষকে শ্রদ্ধা করা যায়। বুঝতে পারি না, উইকেট নেওয়ার পর বা সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি করার পর যেখানে আনন্দ করার কথা, সেখানে এত রাগ কীসের? একটা হাসিই তো যথেষ্ট। মহেন্দ্র সিং ধোনির থেকে এটা শেখা যেতে পারে। ছয় মেরে দলকে জেতানোর পরেও ও শান্ত ভাবে মাঠ ছাড়ে। আবেগ ভাল, কিন্তু তার জন্য একজন প্লেয়ারকে যেন কেউ অসভ্য, অভদ্র না বলে। আশা করা যায়, এরা দ্রুত শিখবে। আইসিসি কিন্তু এখন প্লেয়ারদের আচরণকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে।
No comments:
Post a Comment