স্ত্রী–‌পুত্রর সঙ্গেও ফুটবল চর্চা চলে মৃদুলের - রাজকুমার মণ্ডল । আজকাল - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

স্ত্রী–‌পুত্রর সঙ্গেও ফুটবল চর্চা চলে মৃদুলের - রাজকুমার মণ্ডল । আজকাল

Share This

পুরোটাই অজানা, ধোঁয়াশাবৃত। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের দেখে কিছুটা আঁচ করেছিলেন দম্পতি। কিছু একটা ঘটেছে। বাড়ি ফিরে ম্যাসেজ ইনবক্স দেখে আরও কিছুটা মনে হলেও, বিশ্বাস হচ্ছিল না। শুভেচ্ছাবার্তার ফুলঝুরি। অসংখ্য মিসড্‌ কল। ঘুরিয়ে করারও উপায় নেই। খবরটা সংবাদমাধ্যমে দেখেও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল কর্তার ফোন। ওয়েডসন–‌প্লাজাদের হেড কোচ হচ্ছেন মৃদুল ব্যানার্জি। এবার নিশ্চিন্ত সন্তোষজয়ী কোচ। তবে বিস্মিত নন। কারণ, তিনি মনে করেন এটাই প্রাপ্য।
একই বিশ্বাস মৃদুল–জায়া অনুশ্রীরও। সকাল থেকে ফোনের ধকল সহ্য করতে হচ্ছে। সন্তোষ ট্রফি জয়ের পরও এত ফোন আসেনি। রহস্যটা কী?‌ মোটিভেশন, ইন্সপিরেশন শব্দগুলো একেবারেই যায় না। সময় পেলেই স্ত্রীর সঙ্গে ফুটবল নিয়ে আলোচনা। কী বিদেশি ফুটবল, কী ঘরোয়া ফুটবল। ল্যাপটপে কিংবা মোবাইলে ফুটবলের ছক দেখে স্ত্রী জানতে চাইলেই সংক্ষিপ্ত উত্তর, ফুটবলের পড়াশোনা করছি। সত্যিই ফুটবল নিয়ে পড়াশোনা। ‘‌এ’‌ লাইসেন্স করার সময় অনেকটা সময়ই বই ঘেঁটে কেটেছে। এমনই জানালেন মৃদুলের স্ত্রী।
ছেলে দেবার্ঘ্যর সঙ্গে ফুটবলচর্চা চলে। কিন্তু ছেলে ময়দানি ফুটবল নয়, বিদেশি ঘরানার ফুটবলের ভক্ত। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের খেলা থাকলে বাবাকে নিয়ে টিভির সামনে বসে পড়া, ব্যস। বাবা জানতে চাইলে ফুটবলারদের চেনায় ও–‌ই। ফুটবল খেলতে ভালবাসে। কিন্তু পড়াশোনার চাপে হয়ে ওঠেনি। টেকনো ইন্ডিয়া কলেজ থেকে বিসিএ ফাইনাল ইয়ারের চাপ থাকলেও বাবা ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়ার পর দলের খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন। ময়দানি ফুটবল বা দেশি ফুটবলে রাজনীতি বেশি থাকায় অপছন্দ দেবার্ঘ্যর।
ফুটবলারদের সবসময় নিজের মতো করে দেখেন। ওঁদের পারিবারিক সমস্যার কথা জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করেন। মনের মধ্যে চাপ থাকলে ওঁরা খেলবেন কী করে। সমস্যার সমাধান করেন নিজেই। এক্ষেত্রে সময় খুব অল্প। ফুটবলারদের দেখে নিতে সময় লাগবে। দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। একটু সময় পেলে আরও ভাল হত। কারণ, এই দলটির খেলা একেবারে দেখেননি।  জানালেন মৃদুল–জায়া।
মিষ্টিমুখ, লম্ফঝম্ফ ঘোর অপছন্দ বাড়ির কর্তার। উত্তর কলকাতার পাইকপাড়া বীরপাড়ার সাবেকি বাড়ি ‘‌মণিমোহন’–এ উচ্ছ্বাসের ছিটেফোঁটা নেই। একটু–আধটু আনন্দ হচ্ছে। অনেকটাই গা–সওয়া। বড় দলের কোচিং আগেও করিয়েছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। পরিবারের বিশ্বাস, নিজের অধ্যবসায় দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। শুধু বড় দলের কোচ— এই তকমা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে রাজি নন পরিবারের সদস্যরা। কোচের সাফল্য এলেই প্রমাণ হবে, নচেৎ নয়।‌‌‌

নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন হাসি মৃদুলের। পাশে ছেলে দেবার্ঘ্য, স্ত্রী অনুশ্রী। 

No comments:

Post a Comment

Pages