সুরজিতের ডাকে বাংলা ছেড়ে গোয়া সায়নী - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

সুরজিতের ডাকে বাংলা ছেড়ে গোয়া সায়নী

Share This

বাংলা ছেড়ে গোয়ার পথে সাঁতারে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বাংলার সায়নী ঘোষ! 
মঙ্গলবার রাতের ট্রেনেই বাবা–মাকে সঙ্গী করেই গোয়ার উদ্দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। নদীমাতৃক বাংলায় এতদিন প্র্যাকটিস করেও আরব সাগরের তীরের রাজ্যে যেতে পেরে উচ্ছ্বসিত সায়নী। বাংলার সাঁতারে এই মুহূর্তে আশা–ভরসা সায়নীকে কোনও দিশা দেখাতে ব্যর্থ রাজ্য সাঁতার সংস্থা। তারা দিশা দেখাতে পারলে হয়ত তঁাকে হাতছাড়া করতে হত না।

শেষ কয়েক মাস ধরেই সায়নীর কোচ প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সুরজিৎ গাঙ্গুলি বাংলা ছেড়েছেন। ফলে কোচ–সমস্যায় আঁধারে দিন কাটাচ্ছিলেন বালির সাঁতারু। তঁার পুরনো কোচের কাছেই ফিরে যাবেন, নাকি বাংলার কোনও কোচের কাছে প্র্যাকটিস করবেন? এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন সায়নী। এবং ওঁর বাবা–মাও।
শেষ পর্যন্ত সব দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবসান। সুরজিতের কাছে প্র্যাকটিস সারতেই গোয়া চলে গেলেন সায়নী। যাওয়ার আগে মঙ্গলবার সকালে ফোনে তিনি বলেন, ‘স্যরের কাছে আবার প্র্যাকটিস করতে পারব। খুব খুশি। ছোটবেলা থেকে ওই কোচের কাছেই প্র্যাকটিস করি। চেয়েছিলাম ওঁর কাছেই প্র্যাকটিস করব।’ প্র্যাকটিস করতে বাংলা ছেড়ে যেতে হচ্ছে কেন? সায়নীর তৎক্ষণাৎ জবাব, ‘শুনেছি, আমাদের এখানকার তুলনায় ওখানকার পরিকাঠামো অনেক উন্নত।’
মেয়েকে নিয়ে গোয়ায় যেতে পেরে স্বস্তিতে সায়নীর বাবা–মাও। ‘আমাদের এখানে উন্নতমানের সুইমিং পুল কোথায়? আর আমাদের এমনিতেই টানাটানির সংসার। অনেক ছোটাছুটি করেও মিমিকে (সায়নীর ডাকনাম) স্পনসর করার কাউকে পেলাম না।’ কথাগুলো বলছিলেন সায়নীর বাবা। গোয়া পাড়ি দেওয়ার খবর শুনে রাজ্য সাঁতার সংস্থার প্রেসিডেন্ট রামানুজ মুখার্জি বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছেন সায়নীর বাবা–মার সঙ্গে। কিন্তু বড্ড দেরি হয়ে গেছে। ততদিনে গোয়া যাওয়ার ব্যাগপত্র গোছানো হয়ে গেছে।
বাংলার তারকা সাঁতারু এবার থেকে গোয়ার সুইমিং পুলে প্র্যাকটিস সারবেন। ছাত্রীকে আবার নিজের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ সুরজিৎ। দুপুরে গোয়া থেকে ফোনে বলেন, ‘ভারতীয় সাঁতার সংস্থার সভাপতি দিগম্বর কামাথ আমাকে এখানে কোচ করে  এনেছেন। গোয়াতে অত্যাধুনিক পুল, জিম, ফিজিও— যা যা দরকার সব রয়েছে। তাই ওকে ডেকে নিলাম। এখানকার সাঁতার সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, অন্য রাজ্য থেকে কোনও সাঁতারু এলে তাদের কোনও অসুবিধা নেই।’ 
সামনের জুনে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রায়াল রয়েছে সায়নীর। পুনেতে। তার আগে নর্থ গোয়ার পুলেই প্রস্তুতি সারবেন বাংলার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বালির সাঁতারু। এরপর সায়নীর পাখির চোখ ২০১৮ জাকার্তা এশিয়ান গেমস। সুরজিৎ বলেন, ‘এশিয়ান গেমসে ওকে নিয়ে আশাবাদী। সময় খুব বেশি নেই। হার্ডওয়ার্ক শুরু করে দিতে হবে।’ 
বাংলা ছেড়ে আরব সাগরের তীরে সায়নীর নতুন লড়াইয়ে নামতে চলেছেন। বাংলার ক্রীড়ামহলে আশঙ্কা, আর বাংলায় ফিরবেন তো সায়নী?‌‌‌

No comments:

Post a Comment

Pages