মঞ্চটা ছিল বিরাট কোহলির। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কাঁধের চোট সারিয়ে উঠে শুক্রবার মাঠে নামার ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সেই মতো নামলেন। গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে তিনি ৪৭ বলে ৬২ রানের ইনিংসে দলকে বড় রানের মঞ্চ গড়েও দিলেন। ম্যাচের তৃতীয় ওভার থেকেই বিরাট ধামাকা শুরু।
সাউদিকে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে জানান দিয়েছিলেন, তিনি আছেন নিজের মেজাজেই। চোটের ধকল যে তাঁর ব্যাটিংয়ে কোনওভাবে প্রভাব ফেলেনি, মুম্বই বোলারদের বিরুদ্ধে কোহলির ইনিংস সেটারই প্রমান। তঁার ইনিংসে পাঁচ বাউন্ডারি, দুই ছক্কা। বুমরাকে ছক্কা হাঁকিয়েই ৩৯ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন। বিরাট–ডি’ভিলিয়ার্স যুগলবন্দি তখন স্কোরবোর্ডে দুশোর কাছাকাছি রান তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। রানের গতিতে বাড়াতে গিয়ে ইনিংসের ১৬তম ওভারে ম্যাকলারঘানের বলে আউট বিরাট। দলের স্কোর তখন ১১০/২। অধিনায়ক ফিরতেই বেঙ্গালুরু শিবিরে ভাঙন। স্লগের ওভারগুলোকে সেভাবে কাজেই লাগাতে পারলেন না অন্যেরা।
বিরাটের মঞ্চে হ্যাটট্রিক করে প্রচারের আলো কেড়েছিলেন স্যামুয়েল বদ্রী। সেটাও ম্লান করে দিল কিয়েরন পোলার্ডের ৪৭ বলে ৭০ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। নাইটদের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর তঁার ক্রিকেট মস্তিষ্ক নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকার। শুক্রবার সেরার পুরস্কার নিতে এসে পোলার্ডের মন্তব্য যেন পরোক্ষে সেটারই জবাব। বলে গেলেন, ‘ব্যাট করতে নামার সময় ভাবছিলাম, এরকম পরিস্থিতিেতই চ্যাম্পিয়ন তৈরি হয়। নিজের শক্তিশালী দিকটার ওপরই জোর দিয়েছিলাম।’ ১৪২ রানের পুঁজি হাতে লড়াই সহজ ছিল না বিরাটদের। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে তিন ওভারের মাথায় মুম্বইয়ে স্কোর ৭/৪। কিছু পরেই সাজঘরে গত ম্যাচের সেরা নীতীশ রানা। মুম্বই তখন ৩৩/৫। সেখান থেকে সাত বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয়। ক্রুনাল পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে একক দক্ষতায় ম্যাচ ছিনিয়ে নিলেন পোলার্ড। জয়ের জন্য ক্রুনাল–পোলার্ড জুটির পাশাপাশি দলের বোলারদেরও প্রশংসা করে গেলেন রোহিত।
সেই চেনা ছন্দে।মারমুখী কোহলি।
No comments:
Post a Comment