ছক বদলে বিপদ ডাকলেন মর্গান - মুনাল চট্টোপাধ্যায় । আজকাল - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

ছক বদলে বিপদ ডাকলেন মর্গান - মুনাল চট্টোপাধ্যায় । আজকাল

Share This

ডি এস কে ১ (‌মাওয়াইনথাঙ্গা)‌
ইস্টবঙ্গল ০


বিক্ষেভেও বদলাল না ইস্টবঙ্গল। নতুন বছরেও সেই পুরোন যন্ত্রণাদায়ক খেলা। শ্যাম থাপার পেপ টকেও জাগল না। কী বলা উচিত এই ফুটবলারদের?‌ অযোগ্য, অক্ষম, না গায়ে গন্ডারের চামড়া?‌ ডি এস কে শিবাজিয়ান্সকে পুনের মাঠে হারিয়েছিল লাল–হলুদ ব্রিগেড। প্রায় খালি বারাসত স্টেডিয়ামের মাঠে পুনের দলের কাছে ০–১ গোলে হেরে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষীণতম আশাটুকুও শেষ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের।
পর পর চার ম্যাচ হেরে ১৬ ম্যাচে ২৭ পয়েন্টেই রয়ে গেল তারা। এর পরও চুক্তির দোহাই দিয়ে মর্গান কোচের দায়িত্বে থেকে যাবেন?  ইস্টবেঙ্গল কোচ মর্গান এদিন ছক বদলে ডি এস কে শিবাজিয়ান্সের মোকাবিলায় নেমেছিলেন। নড়বড়ে ডিফেন্স নিয়েও এই মরশুমে প্রথমবার ৩–৫–২ ছকে খেলার সাহস দেখালেন তিনি। এমন পরীক্ষা–নিরীক্ষা কি জরুরি ছিল? অর্ণবের মতো স্টপার, নারায়ণের মতো সাইড ব্যাক থাকতেও কেন যে এই ঝুঁকিপূর্ণ ছকে খেলতে হল, সেটা দুর্বোধ্য। তিন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলতে গেলে দুই সাইড হাফকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। প্রতিপক্ষ আক্রমণের সময় নিচে নেমে তিন ব্যাককে সাহাষ্য করা জরুরি। সেটা করার ক্ষমতা এই ফুটবলারদের নেই। ফলে যা হওয়ার তা–ই হল। ২ মিনিটের মাথায় সত্যসেনের শট পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যাওয়ায় সাময়িক বাঁচে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ২৮ মিনিটের মাথায় আর বাঁচেনি। ডিফেন্স লাইনে বিরাট ফাঁক দেখে পুনে দলের ফুটবলাররা বারবার পেছন থেকে লম্বা বল বাড়াচ্ছিলেন। ফেলে দিচ্ছিলেন ডিফেন্ডারদের পেছনে। ডি এস কে–র স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কুয়েরো তেমনই একটা বল ভাসান ইস্টবেঙ্গল বক্সে। লাল–হলুদ ডিফেন্ডারদের এক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগটা নিলেন মাওয়াইনথাঙ্গা। সুযোগসন্ধানীর পরিচয় দিয়ে হেডে বল জালে জড়ান তিনি। শিলিগুড়ি ডার্বিতেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মধ্যে তাগিদের অভাব নজরে পড়েছিল। এদিন ডি এস কে ম্যাচে মর্গান বাহিনীর খেলার সেই গা–ছাড়া মনোভাব থেকে বেরিয়ে এসে বাড়তি তাগিদ দেখানোর কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। আশা ছিল, ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে বিপুল বিক্ষোভের পর তেড়েফুঁড়ে উঠে সমর্থকদের মাঠেই জবাব দেবেন ফুটবলাররা। মন কেড়ে নেবেন। কিন্তু কোথায় কী? আরও একরাশ বিরক্তিকর ফুটবলে গ্যালারিতে আরও বেশি করে উত্তজনা ছড়ালেন তাঁরা। পাঁচ মিডফিল্ডার খেলায় মনে হয়েছিল, সামনে বল সাপ্লাই অনেক বাড়বে। রবিন ও পেইন গোলের সুযোগ তৈরি করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলবেন। না , তেমন কিছুই ঘটেনি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকবার আক্রমণে গেলেও তা গোলে পরিণত করার মতো সংগঠিত ছিল না দল। হঠাৎ করে ছক বদলে খেলায় রওলিন, বিকাশ, জ্যাকিচাঁদরা কোনও সময়ই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। তা–ও প্রথমার্ধে গোলের একটা সুযোগ চলে এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। রওলিনের শট গোলকিপার সুব্রতর হাতে লেগে পোস্টে ধাক্কা খেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে আলগা বলে বিকাশের শট ফের রোখেন গোলকিপার সুব্রত। বিরতির পর অবিনাশের জায়গায় ওয়েডসন নামতে ইস্টবেঙ্গলকে প্রথমার্ধের তুলনায় চনমনে লেগেছে। মর্গান যে কেন ওয়েডসনকে শুরু থেকে খেলালেন না, সেটা বোঝা গেল না। বিরতির পর সমতা ফেরানোর মতো জায়গায় চলেও গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, ওয়েডসনের ছটফটে ভাবে। রাহুল বেকের শট দুর্দান্তভাবে বাঁচান গোলকিপার সুব্রত। পেইনের সখী মার্কা শট চলে যায় সুব্রতর হাতে। বিকাশ চোটের জন্য বেরিয়ে গেলে নামেন রোমিও। পেইনের জায়গায় ডিকা। তাতেও হার বাঁচাতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গল: শুভাশিস, রাহুল, বুকেনিয়া, গুরবিন্দর, বিকাশ (‌রোমিও)‌, জ্যাকিচাঁদ, মেহতাব, রওলিন, অবিনাশ (‌ওয়েডসন)‌, পেইন (‌ডিকা)‌, রবিন।‌

No comments:

Post a Comment

Pages