ক্রিস লিন নেই। জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭১ রান। ইডেনে রাতের বেলা যা তোলা একটু হলেও কঠিন। কিন্তু সেটাই যে এত সহজে ২১ বল বাকি থাকতে করে ফেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স, অনেকেই হয়ত আন্দাজ করতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময়েই কেকেআর-এর একটি সিদ্ধান্তে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন নাইট সমর্থকরা।
কারণ সবাই যখন ধরে নিয়েছিল গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন রবিন উত্থাপা, তখনই অধিনায়কের সঙ্গে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন সুনীল নারিন। শুধু সমর্থকরা নন, অবাক হওয়ার পালা ছিল ধারাভাষ্যকারদেরও। যদিও এর আগে বিগ ব্যাশে ওপেন করতে নেমেছিলেন নারিন।
কারণ সবাই যখন ধরে নিয়েছিল গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন রবিন উত্থাপা, তখনই অধিনায়কের সঙ্গে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন সুনীল নারিন। শুধু সমর্থকরা নন, অবাক হওয়ার পালা ছিল ধারাভাষ্যকারদেরও। যদিও এর আগে বিগ ব্যাশে ওপেন করতে নেমেছিলেন নারিন।
এদিনও তিনি দেখালেন, কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত কোনদিক থেকেই ভুল নয়। কারণ বোলার নারিন নয়, ব্যাটসম্যান নারিনের সৌজন্যেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে কলকাতা। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বোলারদের শুরু থেকেই পেটাতে থাকেন গম্ভীর-নারিন জুটি। দুই ওপেনারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক ছিলেন নারিনই। ম্যাক্সওয়েল, ইশান্ত শর্মাদের কোনও সুযোগ দেননি তিনি। শেষপর্যন্ত বরুণ অ্যারনের বলে যখন আউট হলেন তখন কলকাতার রান ৭০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। চারটি চার এবং তিনটি বিশাল ছক্কার সুবাদে ১৮ বলে ঝোড়ো ৩৭ রান করেন নারিন। এরপর আর কেবল উত্থাপার (২৬) উইকেটটিই পড়ে। অধিনায়ক গম্ভীর (৭২) এবং মণীশ পাণ্ডে (২৫) দলকে জয় এনে দেন। ম্যাচ শেষে নারিন বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরেই নিজের ব্যাটিংয়ে উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছিলাম। শেষপর্যন্ত সেটা করতে পেরে ভাল লাগছে। ডারেন ব্র্যাভো আমাকে সবসময় ব্যাটিং নিয়ে টিপস দেয়। আশা করি আমি নিজের ব্যাটিং আরও ভাল করতে পারব। অধিনায়কের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে পারাটাও খুব আনন্দের।’ ম্যাচের পর গম্ভীর বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ অনেক বড়। তাই নারিনকে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল। কারণ শেষদিকে ঠিকমত ব্যাট করার সুযোগও পায় না। আর ও কিন্তু বড় হিট নিতে সক্ষম। ব্যাটসম্যান নারিব্নের উপরও কিন্তু আমার আস্থা রয়েছে।’ পাঞ্জাব অধিনায়কের অবশ্য জানিয়েছেন, নারিনকে বড় শট মারতে দেখে তিনি একটুও অবাক নন।
এদিন ইডেনে আইপিএল দশের প্রথম ম্যাচ ছিল। কানায় কানায় ভর্তি স্টেডিয়াম। আর ঘরের মাঠে নিজেদের দর্শকদের সামনে আট উইকেটে দুরন্ত জয়। সেলিব্রেশন তো হওয়ারই কথা ছিল। আর তেমনটাই হল। বৃহস্পতিবার ম্যাচের পরে কেক কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন নাইটরা। কখনও কুলদীপকে কেক খাওয়ানো, কখনও আবার অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের মুখে জোর করে ইউসুফ পাঠানের কেক মাখিয়ে দেওয়া। সেই সবই ধরা পড়ল ক্যামেরায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শনিবার শিখর ধাওয়ানদের মুখোমুখি হওয়ার আগে এই জয় নিশ্চিতভাবে মনোবল বাড়াবে নাইটদের।
Watch @SunilPNarine74 speak about his batting exploits & check how #Knights celebrated the win over #KXIP #KKRvKXIPhttps://t.co/8pnEsGyYU3— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 13, 2017
No comments:
Post a Comment