বিশ্বজিৎ দাস: টুর্নামেন্টের মাঝপথেই সরিয়ে দেওয়া হল টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সংস্থা ‘বুক মাই শো’–কে। সিএবি–র অভিযোগে শেষপর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বোর্ড এবং আইপিএল কমিটির। ফলে আইপিএলে ইডেনে দুটি প্লে–অফ ম্যাচের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘পেটিএম’–কে। এই সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে চুক্তি রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। সেই সূত্রেই তড়িঘড়ি তাদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া। পেটিএমের তরফে ইতিমধ্যেই ইনসাইডার ডন ইন থেকে কলকাতার দুটি প্লে–অফ ম্যাচের টিকিট অনলাইনে বিক্রিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আইপিএলে টিকিট বিক্রি নিয়ে অস্বচ্ছতা। কালোবাজারিদের হাতে গোছা গোছা টিকিট চলে যাওয়া। সাধারণ জনগণ, ক্রিকেটপ্রেমী জনতা চেয়েও টিকিট না পাওয়ায় সর্ষের মধ্যেই ভূত দেখছিল সকলে। প্রতি ক্ষেত্রেই বরাবর অভিযোগের আঙুল উঠছিল আইপিএলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সংস্থা ‘বুক মাই শো’–র দিকেই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর ম্যাচে কাউন্টার থেকে ৪০০, ৫০০ টাকা দামের টিকিটে ২৫ শতাংশ জিএসটি দিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। কোনওরকম জিএসটি রসিদ ছাড়া। অথচ নিয়মানুযায়ী হাজার টাকার কম দামের টিকিটে কোনওভাবে জিএসটি ধার্য হয় না। শুধু তাই নয়, কাউন্টার থেকে যে পরিমাণ টিকিট সাধারণ দর্শকের জন্য বিক্রি হওয়ার কথা, সেটাও হত না। দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মীরাই বেশি টাকার বিনিময়ে কালোবাজারিদের হাতে টিকিট তুলে দিতেন। এমন অভিযোগ খোদ সিএবি কর্তাদেরও। ক্ষুব্ধ বাংলা ক্রিকেট প্রশাসকদের কেউ কেউ যেমন বলেই দিচ্ছেন, টাকা দিয়ে দামের টিকিট আমরা পাচ্ছিলাম না। অথচ ব্ল্যাকারদের হাতে টিকিট ঘোরাফেরা করছিল। কীভাবে সম্ভব? বিষয়টা নিয়ে সাধারণ জনতার মধ্যেও একটা ক্ষোভ কাজ করছিল।
আইপিএলের টিকিট কলকাতা নাইট রাইডার্সের তত্ত্বাবধানে থাকায় সিএবি কর্তারা খুব বেশি কিছু করতেও পারছিলেন না। কিন্তু প্লে–অফের দুটি ম্যাচ যেহেতু বোর্ডের, তাই তাঁরা সক্রিয় হয়েছিলেন বিষয়টা নিয়ে। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সিএবি যুগ্ম সচিব অভিষেক ডালমিয়া বলেন, ‘শুনেছি বোর্ড প্লে–অফ ম্যাচের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পেটিএম–কে দিয়েছে। এর বেশি আমার কিছু জানা নেই। আজকের রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচটা মিটলে তারপর খবর নেব।’ সংস্থা বদলে দেওয়ায় বাকি দুই ম্যাচে সাধারণ দর্শকের সমস্যার সুরাহা হয় কিনা সেটাই দেখার।
No comments:
Post a Comment