নিউক্যাসল, ১২ মে: এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ স্থান পাওয়া হয়তো সম্ভব হবে না গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেলসির পক্ষে। কারণ রবিবার লিভারপুল জিতে গেলেই চেলসির পক্ষে ইপিএলে প্রথম চারটি দলের মধ্যে থাকা সম্ভব হবে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মরশুমেও আন্তনিও কন্তের ব্লুজের কোচ থাকা বেশ অনিশ্চিত। যদিও ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে চেলসির।
কন্তে বারবার বলেছেন, তিনি প্ল্যানিং অনুযায়ী ফুটবলার পাননি। যাদের চেয়েছিলেন তাদের অনেককেই ব্লুজ ম্যানেজমেন্ট স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আনতে পারেননি। তাই নিউক্যাসলকে হারালেও চেলসির আগামী মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার সুযোগ হয়তো থাকবে না। সুতরাং পরের মরশুমে ইউরোপা লিগ খেলেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে চেলসিকে। এই ললাটলিখন এখন কার্যত মেনে নিয়েছেন আন্তোনিও কন্তে।
শনিবার তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘২০১৫-১৬ মরশুমে হোসে মরিনহো যখন চেলসির কোচ হিসাবে বরখাস্ত হন, তখন ইপিএল টেবলে চেলসি দশম স্থানে ছিল। আমি গত মরশুমে দলের দায়িত্ব নিয়েই ইপিএলে চ্যাম্পিয়ন করেছিলাম চেলসিকে। এই মরশুমের শুরুতেও ইপিএলে শীর্ষস্থানীয় ছ’টি দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বার্থ আদায় করার জন্য গত ৮ মাস হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে। শেষ পর্যন্ত আমরা হয়তো ইউরোপিয়ান ফুটবলের বাস মিস করব। অনেকেই ইউরোপা লিগকে সিরিয়াসলি নেন না। দুই মরশুম আগেও চেলসি দশম স্থানে শেষ করেছিল। এখন আমার সামনে একটাই লক্ষ্য এফএ কাপ জেতা। এফএ কাপ ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ইংল্যান্ডের এই দুটি বড় ক্লাবই এই মরশুমে কোনও বড় ট্রফি জেতেনি। আমি সাধ্যমতো ফুটবলারদের নিয়ে চেষ্টা করেছি। এবার মূল্যয়নের দায়িত্ব ফুটবল বিশেষজ্ঞদের।’
রবিবার সেরা একদশই চয়ন করবেন ব্লুজের কোচ। আগের ম্যাচে তিনি ইডেন হ্যাজার্ড ও অলিভার জিরুকে প্রথম একাদশে রাখেননি। এই নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। এবার আর সেই ভুল করতে চান না কন্তে। আগামী শনিবার এফএ কাপ ফাইনালের আগে সেরা একাদশ খেলিয়ে দলের শক্তিসামর্থ যাচাই করে নিতে চান ব্লুজের কোচ।
No comments:
Post a Comment