নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: ক্লাবের গণ ইস্তফায় মোহন বাগান সচিব এতটুকু বিচলিত নয়। বরং অন্য দিনের চেয়ে তাঁর গলায় জোর বেশি। কারণ স্পনসর হতে আগ্রহী একটি সংস্থার সঙ্গে মোহন বাগান সচিবের এদিনই ফলপ্রসূ কথা বার্তা হয়। মোহন বাগান কর্মসমিতিকে এখনও নিষ্ক্রিয় করতে পারেননি তাঁর বিরোধীরা। ‘ভাই- ভাইপো’দের বিদ্রোহ যোলো কলায় পূর্ণ হওয়ার আগেই ইস্তফা দিতে অনিচ্ছুক সাত- আট জন কর্মসমিতির সদস্যদের নিয়ে সভা ডেকে সেই ডিল করতে মরিয়া সচিব।
এই ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,‘ আমি মিথ্যা কথা বলা পছন্দ করিনি। নতুন স্পনসর আনার ইতিবাচক কথাবার্তা চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে তা জানাব। কমিটি এখনও নিষ্ক্রিয় হয়নি। হলেও আমার উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। শেষ পর্যন্ত তো নির্বাচন হবে। আমি তো অনেকদিন ধরেই বলছি, সহ সচিব- অর্থ সচিব না ফিরলে নির্বাচনই একমাত্র পথ। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে কার কত ভোট। হাওড়ার তিন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে অনেক বুঝিয়েও নিজেদের দিকে আনতে পারেননি সচিব বিরোধীরা। হাওড়াবাসী দুই সচিব অনুগামীকে নববর্ষে প্রছন্ন হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবুও তাঁরা সচিবের প্রতি আনুগত্য বদল করেনি। এতে মোহন বাগান সচিব আরও জোর পেয়েছেন।
নির্বাচনের পর ক্লাবের বৃহত্তর স্বার্থে মোহন বাগান ফুটবল টিম প্রাইভেট লিমিটেডের ৭৪ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে দিতে হয়তো বাধ্য হবেন নির্বাচিত নতুন কর্তারা। মোহন বাগান আইএসএলে খেলার অনুমতি পেলেই দেশের তিনটি বড় কোম্পানির কোনও একটির সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি হতে পারে। মোহন বাগান পাবে বছরে ৪০ কোটি। বৃহত্তর স্পনসরশিপ পেলে ক্লাবের মাত্র দু’জন কোম্পানির ডিরেক্টর হতে পারবেন। বাগানে ‘কাকা- ভাইপোর’ সাম্প্রতিক লড়াইয়ের নেপথ্যে এটাও বড় কারণ। এদিকে, সহ সচিব-অর্থ সচিব গোষ্ঠীর প্রজেক্টেড সভাপতি হতে মরিয়া চুনী গোস্বামী।
No comments:
Post a Comment