লাল–‌হলুদ গোছাচ্ছে সবুজ–‌মেরুন ঘাঁটছে | আজকাল - Sports Gallery

Sports Gallery

খেলাধুলার সব খবর, একসাথে হাতের মুঠোয়

লাল–‌হলুদ গোছাচ্ছে সবুজ–‌মেরুন ঘাঁটছে | আজকাল

Share This


আজকালের প্রতিবেদন: মরশুম শেষেই ইস্টবেঙ্গল সুভাষ ভৌমিককে টিডি করে কোচের পদ থেকে খালিদকে সরিয়ে নতুন বছরের দলগঠনে মন দিয়েছে। যদিও ইস্টবেঙ্গলের দেওয়া ২৮ জনের তালিকায় থাকা মিনার্ভার ফুটবলারদের নাম নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মিনার্ভার কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ। তঁার বক্তব্য,‌ মিনার্ভার যে ফুটবলারদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল চুক্তি হয়েছে বলে দাবি করছে, তা অবৈধ। কারণ ওই ফুটবলারদের সঙ্গে তাঁর দলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়নি। তাই তিনি না ছাড়লে ওই ফুটবলাররা কোথাও খেলতে পারবেন না। 

মিনার্ভার কর্তার এই বক্তব্যের ফলে অতীতের মতো কে কার ফুটবলার তা নিয়ে ঝামেলা গড়াতে পারে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির দপ্তরে। তবে এ–সবে মাথা ঘামাতে নারাজ লাল–হলুদ শিবির। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলে দিলেন, ‘কে কী বলল তা নিয়ে ভাবছি না। ফুটবলারদের দায়িত্ব ক্লাবের থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে এসে খেলার।’‌ এদিকে, টিডি সুভাষকে পছন্দের কোচ বাছার স্বাধীনতা দিয়েছেন লাল–হলুদ কর্তারা। ৪–৫ জনের সঙ্গে সুভাষ কথা বললেও এখনও চূড়ান্ত কোনও নাম দেননি কর্তাদের। এফ সি গোয়ার কোচ ডেরেক পেরেরার নাম সামনে এলেও এ–লাইসেন্সধারী বাস্তব কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। তার অন্যতম কারণ বাস্তবকে পেতে ইস্টবেঙ্গলকে বিরাট অর্থ খরচ করতে হবে না। 

অন্যদিকে, মোহনবাগানে প্রশাসনিক স্তরে অস্থির অবস্থা এখনও মেটেনি। ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চ্যাটার্জি ঘরোয়া বৈঠকে সচিব অঞ্জন মিত্রকে বলে এসেছেন, সোমবারের মধ্যে ফুটবলারদের গত মরশুমের বকেয়া ও নতুন মরশুমের দলগঠনের টাকা জোগাড় না হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। সচিব অঞ্জন পরিস্থিতি সামাল দিতে সময় চেয়েছেন। অন্যান্যবার তাঁর পাশে থাকেন টুটু বসু। তঁার তরফে এবার এখনও কোনও সাড়া নেই, উপরন্তু দলগঠনের কাজ শেষে সরে দাঁড়িয়েছেন পদত্যাগী সহ–সচিব সৃঞ্জয় বসু ও অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত। এর পর সত্যজিৎ সরলেই মহেশ টেকরিওয়ালের মতো পদত্যাগের পথে হাঁটবেন কার্যকরী কমিটির দুই সদস্য উত্তম সাহা ও সঞ্জয় ঘোষ। এতে যে অঞ্জনের ওপরও সচিব পদ ছাড়ার জন্য চাপ বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। একই সঙ্গে মোহনবাগানের অচলাবস্থায় অসন্তুষ্ট সদস্য–সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে সচিব অঞ্জনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন।‌

No comments:

Post a Comment

Pages